দেশে আলু ব্যাপকভাবে চাষ করা হয়। অধিকাংশ জায়গায় সনাতন পদ্ধতিতে আলু চাষ হয়। তবে কখনো কখনো তাপ, খরা ও বৃষ্টির খেসারতও বহন করতে হয় কৃষকদের। যার কারণে ফসল নষ্ট হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে, আলু চাষের নতুন কৌশল উদ্ভাবন করেছেন বিজ্ঞানীরা। এই কৌশলে বাতাসে আলু চাষ করা যায়। এই কৌশলটির নাম “অ্যারোপোনিক ফার্মিং” (Aeroponic farming)।
এতে সনাতন চাষের তুলনায় উৎপাদন বাড়বে ১০ গুণেরও বেশি। এটি তৈরি করেছে হরিয়ানা’র কর্নাল জেলায় অবস্থিত আলু প্রযুক্তি কেন্দ্র। কৃষকদেরও এই কৌশলে আলু চাষের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এই কৌশলে নার্সারিতে আলু চারা তৈরি করা হয়। যার রোপণ একটি অ্যারোপোনিক ইউনিটে করা হয়। উন্নত জাতের আলু গাছ নার্সারিতে প্রস্তুত করে বাগান ইউনিটে পাঠানো হয়।
গাছের শিকড় তারপর বাভস্টেইনে নিমজ্জিত হয়। যাতে ছত্রাকের আশঙ্কা না থাকে। এরপর উঁচু বেড তৈরি করে আলু চারা রোপণ করা হয়, যখন গাছের বয়স ১০ থেকে ১৫ দিন হয়, তখন অ্যারোপনিক ইউনিটে গাছ লাগিয়ে কম সময়ে বেশি আলু উৎপাদন করা হয়। এই কৌশল অন্যান্য দেশে খুব বিখ্যাত। কিন্তু ভারতে অ্যারোপোনিক চাষের কৃতিত্ব দেওয়া হয় আলু প্রযুক্তি কেন্দ্র, শামগড়কে।
এই প্রতিষ্ঠানটি ভারতে অ্যারোপোনিক ফার্মিং অনুমোদন করেছে। অ্যারোপোনিক হল এমন একটি কৌশল যাতে আলু গাছের শিকড় বাতাসে ঝুলে থাকে। এখানেই তারা তাদের পুষ্টি পায়। এই কারণে মাটি ও জমির প্রয়োজন হয় না। এই কৌশলে আলুর উৎপাদন ক্ষমতা বহুগুণ বেড়ে যায়। এই কৌশলটি কৃষকদের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। এই পদ্ধতিতে আলু চাষে খরচ অনেক কম হয়। এবং বাম্পার ফলনের কারণে মোটা টাকা আয় করা যায়।