২০১৭ সালে, সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রক দুর্ঘটনা এড়াতে সমস্ত দুই চাকার গাড়িতে অটো হেডলাইট বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল৷ ইঞ্জিন চালু হওয়ার সাথে সাথে এই হেডলাইট স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয়ে যায়। মোটরসাইকেল থেকে স্কুটার সব টু-হুইলারে এই বৈশিষ্ট্যটি দৃশ্যমান। নতুন স্কুটার এবং মোটরবাইকে হেডলাইট কম বা ম্লান করার বিকল্প আছে, কিন্তু এটি বন্ধ করার জন্য কোন ম্যানুয়াল সুইচ নেই।
অনেকেই এই হেডলাইটগুলি বন্ধ করার জন্য একটি দুর্দান্ত কৌশল নিয়ে এসেছেন। বাইক-স্কুটারে AHO (স্বয়ংক্রিয় হেডলাইট অন) বৈশিষ্ট্যটি বন্ধ করতে বাজারে একটি পৃথক সুইচ ইনস্টল করা হচ্ছে। এই সমস্ত ড্রাইভার বিশ্বাস করেন যে এই সুইচটি ইনস্টল করলে ব্যাটারি খরচ অনেক কমে যাবে। কিন্তু হয়তো এই বাইকাররা জানেন না যে এটা বেআইনি।
ব্যাটারি খরচ কমানোর পাশাপাশি, কেউ কেউ বিশ্বাস করেন যে, সব সময় হেডলাইট অন থাকলে মাইলেজও কম পাওয়া যায়। বাইক বা স্কুটারের তেল খরচ বাড়ায় এই অটো হেডলাইট। এছাড়া এই দাবি সম্পর্কে বিভিন্ন লোকের বিভিন্ন মতামত রয়েছে।
স্বয়ংক্রিয় হেডলাইটের সুবিধা কি?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে বেশির ভাগ সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পরেন দুই চাকার চালকরা। তাই এই দুর্ঘটনার সংখ্যা কমাতে কেন্দ্র জানিয়েছে যে, ‘প্রতিটি বাইক এবং স্কুটারে AHO ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক’। এই ফিচারটির সুবিধা হল হেডলাইট অন থাকলে রাস্তায় দৃশ্যমানতা ভালো হয়। ইউরোপ ও আমেরিকার মত অনেক দেশে দৃশ্যমানতা বাড়ানোর জন্য বহু বছর ধরে এই নিয়ম চালু রয়েছে।
বিশেষ করে, খারাপ আবহাওয়া বা কুয়াশায় ঢেকে যাওয়া রাস্তায় এই হেডলাইট জীবন রক্ষাকারী হিসাবে কাজ করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, স্বয়ংক্রিয় হেডলাইট অন বাইকের ব্যাটারিতে খুব বেশি প্রভাব ফেলে না। আজকাল অনেক বাইকে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় যা ব্যাটারি নষ্ট করে না।