তুষার ঝড়ের জেরে উত্তাল আমেরিকা, অন্যদিকে ঠান্ডায় কাঁপছে উত্তর ভারত। কিন্তু বাংলায় শীতের তেমন কোন প্রভাব দেখা যাচ্ছে না! বরং দিন দিন তাপমাত্রা আরও বাড়ছে। মঙ্গলবার কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল স্বাভাবিকের থেকে ৭ ডিগ্রি বেশি। ফলে মনের মত খাবার দিয়েও শীতের স্বাদ উপভোগ করা যাচ্ছে না। আবহাওয়া দফতর বলছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় আবহাওয়ার খুব দ্রুত পরিবর্তন হবে। আজ সকালে অনেক জেলায় হালকা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে।
মেঘলা আকাশের কারণে তাপমাত্রা আরও বেড়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের মতে, মঙ্গলবার কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৮.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি। সোমবারের তুলনায় মঙ্গলবার তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে।
শীতকালে তাপমাত্রা বাড়ার কারণ আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে একটি উচ্চচাপ তৈরি হয়েছে। যার জেরে সামুদ্রিক হাওয়া রাজ্যের তাপমাত্রা বাড়াচ্ছে। সেই সঙ্গে কমেছে উত্তরের বাতাসের শক্তিও। আলিপুর আবহাওয়া অফিসও বাতাসের দিক পরিবর্তনের পূর্বাভাস দিয়েছে। তারা জানান, মঙ্গলবার বিকেলের পর উচ্চচাপ বলয়ের অবস্থার পরিবর্তন হবে। রাজ্যেও হাওয়া বদল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, ২৪ ঘণ্টা পর ধীরে ধীরে তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে।
এমতাবস্থায়, আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা ক্রমাগত ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। ২৪ ঘণ্টা পর কমবে দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গের তাপমাত্রা। ডিসেম্বরে শেষ কবে তাপমাত্রা এত বেশি ছিল তা মনে রাখা কঠিন। কিন্তু এই ডিসেম্বর দেখে বলা হচ্ছে, ২০০৪ সালের পর এখন ২০২২ সালের ডিসেম্বরে এত বেশি তাপমাত্রা। ১৮ বছরের রেকর্ড ভেঙ্গে এই বছরের সবচেয়ে উষ্ণ মাস ছিল ডিসেম্বর।
রাজ্যে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ৭ ডিগ্রি বেশি।আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার কলকাতায় তাপমাত্রা ছিল প্রায় ২০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস অর্থাৎ ২১ ডিগ্রি, যা সাধারণত ১৪ থেকে ১৫ ডিগ্রির কাছাকাছি বলা হয়। কিন্তু আবহাওয়ার এই উল্টোটা ঘটতে চলেছে বুধবার-বৃহস্পতিবার থেকে। আবার নামবে পারদ। বছরের শেষটা ও নতুন বছরের শুরুটা ঠাণ্ডা পরিবেশে কাটাতে হবে বঙ্গবাসীকে।