ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (RBI) স্বর্ণের রিজার্ভ ২০২৩ অর্থবছরে ৭৯৪.৬৪ মেট্রিক টন ছুঁয়েছে, যা ২০২২ সালের তুলনায় প্রায় ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে এর পরিমান ছিল ৭৬০.৪২ মেট্রিক টন। বৈচিত্র্যকরণ প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে, আরবিআই বিশ্বব্যাপী অনিশ্চয়তা এবং ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির মধ্যে তার রিটার্ন রক্ষা করার জন্য রিজার্ভগুলিতে সোনা যোগ করছে। যা আরও নিরাপদ, সুরক্ষিত এবং গচ্ছিত সম্পদ হিসাবে বিবেচিত হয়।
আর RBI কত সোনা কিনেছে?
আরবিআই ২০২৩ অর্থবছরে প্রায় ৩৪.২২ টন সোনা কিনেছে। ২০২৩ অর্থবছরে ৭৯৪.৬৪ টন সোনার মজুদের মধ্যে ৫৬.৩২ টন সোনার আমানতও অন্তর্ভুক্ত ছিল। গত সোমবার আরবিআই বলেছে, অক্টোবর ২০২২ থেকে মার্চ ২০২৩ পর্যন্ত ৪৩৭.২২ টন সোনা বিদেশে ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড এবং ব্যাংক অফ ইন্টারন্যাশনালের কাছে নিরাপদ হেফাজতে সেটেলমেন্ট রয়েছে।
এছাড়া ৩০১.১০ টন সোনা অভ্যন্তরীণভাবে রাখা হয়েছে। ৩১শে মাৰ্চ, ২০২৩ পর্যন্ত দেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৫৭৮.৪৪৯ বিলিয়ন ডলার। এবং সোনার রিজার্ভ ছিল ৪৫.২ বিলিয়ন ডলার। মূল্যের পরিপ্রেক্ষিতে (USD) মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে সোনার অংশ ২০২২ সালের মার্চের শেষে প্রায় ৭ শতাংশ থেকে ২০২৪ সালের মার্চের শেষে প্রায় ৭.৮১ শতাংশে বেড়েছে।
কিন্তু কেন এত সোনা কিনছে আরবিআই?
বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে RBI তার সামগ্রিক রিজার্ভকে বৈচিত্র্যময় করার জন্য গত কয়েক বছর ধরে তার সোনার ক্রয় বাড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কৌশলের এই পরিবর্তন অতীতে নেতিবাচক সুদের হার, ডলারের দুর্বলতা এবং ক্রমবর্ধমান ভূ – রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা দ্বারা চালিত হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিরাপত্তা, তারল্য এবং রিটার্ন চায় । স্বর্ণ একটি নিরাপদ সম্পদ কারণ, এটির একটি আন্তর্জাতিক মূল্য রয়েছে, যা স্বচ্ছ। এবং এটি দিয়ে যে কোনো সময় ব্যবসা করা যেতে পারে । তাই কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলি ব্যাপক হারে সোনা কিনছে। সাম্প্রতিক রিপোর্টে দেখা গেছে, RBI জানুয়ারী- মার্চ ২০২৩ সালে ৭ টনের বেশি সোনা যোগ করেছে তাদের ভাণ্ডারে।