ধনী হোক বা গরীব, সবাই অন্তত একবার ফ্লাইটে ভ্রমণ করতে চায়। যাইহোক, সবাই হয়তো প্লেনে চড়তে পছন্দ করেন, তবে অনেকেই আছেন যারা ফ্লাইটে বসতে ভয় পান। এই ভয়ের কারণে অনেক সময় সমস্যায়ও পরতে হয় তাদের। প্রায়ই আমরা সবাই বিমান সংক্রান্ত অনেক দুর্ঘটনার কথা শুনে থাকি। কখনও বিমান দুর্ঘটনার খবর সামনে আসে, কখনও কখনও আবহাওয়ার কারণে কোন না কোন ত্রুটির খবর আমরা শুনে থাকি, কিন্তু আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন যে ফ্লাইটে একজন যাত্রী মারা গেলে কী হয়?
সোশ্যাল মিডিয়ায়, @danidboyy1 নামে একজন ব্যবহারকারী বিমানে মৃত্যুর পরবর্তী প্রক্রিয়া সম্পর্কে অনেক বিবরণ শেয়ার করেছেন, যা বেশ চমকপ্রদ। জানলে আপনিও অবাক হবেন। ব্যবহারকারী নিজেকে একজন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ফ্লাইট চলাকালীন কোনো কারণে হঠাৎ কোনো যাত্রীর মৃত্যু হলে কেবিন ক্রু সদস্যকে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়।
ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট বলেছিলেন যে “কেবিন ক্রু আইনত কাউকে মৃত ঘোষণা করতে পারে না, তাই ক্যাপ্টেন যদি ফ্লাইটটি ডাইভার্ট না করার সিদ্ধান্ত নেন, তবে মৃতদেহটি তার চূড়ান্ত গন্তব্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত বিমানে থাকবে”। আরও বলা হয়েছে যে, “যদি জায়গা থাকে তবে যাত্রীর দেহ খালি আসনে বা অন্য কেবিনে স্থানান্তর করা যেতে পারে।
একই সঙ্গে আরেক ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট জানান, ফ্লাইট চলাকালীন কোনো যাত্রীর মৃত্যু হলে বাড়তি ব্যবস্থা করা যেতে পারে। একজন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট বিজনেস ইনসাইডারকে বলেছেন, “আমি সম্ভবত সেই ব্যক্তির উপরে একটি কম্বল বিছিয়ে রাখতাম, যাতে লোকেরা ওই ব্যাক্তিকে ততটা দেখতে না পারে।
এছাড়া, একজন যাত্রী একটি ঘটনার কথা বলেছিলেন যখন একজন এয়ারলাইন পরিচারক একজন ব্যক্তির মৃত্যুর পরে পুরো বিষয়টি পরিচালনা করেছিলেন। তিনি বলেন, “সিঙ্গাপুরে ১১ ঘন্টার ফ্লাইটে আমার পিছনের সিটে বসা এক মহিলা মারা যান। তারপর পরিচারক তাকে অন্য একটি আসনে মহিলার আত্মীয়দের কাছে নিয়ে যায় এবং তার মরদেহ একটি সিটে রেখে দেয়”।