“কলা” (Banana) সুস্বাদু ও উপকারী ফল হিসেবে গৃহীত। এর প্রচুর ভালো গুন রয়েছে, এবং বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে। এটি ব্যাপকভাবে পুষ্টিকর ফল হিসেবে খাওয়া হয়। এছাড়া বিভিন্ন ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে এই ফল ব্যবহৃত হয়। কলার সাধারণত প্রতিটি সিজনেই পাওয়া যায়। এবং ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে কলার চাষ করা হয়। প্রায় সর্বত্রই এই ফলের চাহিদা ব্যাপক।
যেহেতু কলা মানুষের খাদ্যের তালিকায় বিশেষ ভাবে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, সেহেতু কলা সম্পর্কিত বিশেষ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে রাখা খুবই জরুরী। আমরা প্রায় প্রত্যেকেই কলার স্বাদ গ্রহণ করেছি। এই কলা খাওয়ার সময়ে খোসা ছাড়ালেই দেখা যায়, এর গায়ে সরু সুতোর মতো দেখতে একপ্রকার তন্তু লেগে থাকে। জানেন এগুলি আসলে কী?
কলার গায়ে ও খোসায় লেগে থাকা এই তন্তু বা আঁশের নাম ‘ফ্লোয়েম বানডল’। যা কলার পুষ্টি জোগানোর কাজ করে। গাছ থেকে পুষ্টি এবং জল, কলার মধ্যে প্রবেশ করানোর কাজ করে এই তন্তুগুলো। প্রতিটি কলা পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ হয়ে ওঠার পিছনে এই তন্তুগুলোর বিরাট ভূমিকা রয়েছে।
তবে এই আঁশ বা তন্তুগুলো মানুষের পেটে গেলে কী হয়? পুষ্টিবিদরা বলছেন, এই তন্তুগুলোতে নানা ধরনের খনিজ এবং পুষ্টিগুণ ভর্তি থাকে। এবং এতে যে ফাইবার থাকে, তা কলার মধ্যে থাকা ফাইবারের থেকে গুণমানে কিছুটা আলাদা।
গুণমানের দিক থেকে এই তন্তুগুলি অবশ্যই ভাল।বিজ্ঞানীরা বলছেন, এগুলো পেটে গেলে কোন ক্ষতি না, উপকারই হয়। কলা খাওয়ার সময়ে এগুলিকে ছাড়িয়ে ফেলে দেওয়াটা ভুল। সাধারণত এগুলিকে ফেলে দেওয়া কারণ, এর কোন স্বাদ নেই বলেই।
কিন্তু কলার থেকেও এই তন্তুগুলো বেশি পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ বলেই মত প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় আপেলের খোসা যেমন পুষ্টিগুণে ঠাসা, তেমনই কলার এই তন্তুগুলোও অনেক উপকারী উপাদানে ভরপুর। ফলে পরবর্তীতে কলা খাওয়ার সময়ে এগুলো না ফেলে দিয়ে, নিশ্চিন্তে খেয়ে নিতে পারেন।