আমাদের সৌরজগতের জল কোথা থেকে এসেছে, জানেন কি? এটিও মহাকাশ সংক্রান্ত অনেক প্রশ্নের মধ্যে একটি, যার উত্তর খুঁজছেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু বিজ্ঞানীরা এমন একটি স্টার সিস্টেম আবিষ্কার করেছেন, যা আমাদের এই রহস্য সম্পর্কে ধারণা দিতে পারে। বিজ্ঞানীরা উত্তর চিলিতে আতাকামা লার্জ মিলিমিটার অ্যারে অফ টেলিস্কোপস, বা ALMA ব্যবহার করে ১,৩০০ আলোকবর্ষ দূরে একটি বিশেষ নক্ষত্রকে পর্যবেক্ষণ করেছেন। এই নক্ষত্রটির নাম “V883 Orionis”। এর চারপাশে গ্যাস এবং ধূলিকণার একটি ডিস্ক রয়েছে।
গবেষকদের একটি দল গ্রহটি তৈরি করা ডিস্কে রাসায়নিক সংকেত পরিমাপ করতে ALMA ব্যবহার করেছিলেন। এই সময় তারা মহাকাশে গ্যাসের আকারে জল বা জলীয় বাষ্পের সন্ধান পেয়েছেন। এই আবিষ্কার দ্বারা বিজ্ঞানীরা জেনেছেন কীভাবে এই জল নক্ষত্র গঠন থেকে গ্রহের গঠন পর্যন্ত ভ্রমণ করে। বুধবার নেচার জার্নালে এই সংক্রান্ত গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে যে সূর্যের গ্রহ-গঠনকারী চাকতি থেকে গঠিত ধূমকেতু পৃথিবীতে জল আনতে পারে।
জল সূর্যের চেয়ে পুরানো:
বিজ্ঞানীদের মতে, সম্ভবত আমাদের পৃথিবীতে যে জল রয়েছে তা সূর্যের চেয়েও পুরনো। সূর্যের বয়স ৪.৬ বিলিয়ন বছর। ন্যাশনাল রেডিও অ্যাস্ট্রোনমি অবজারভেটরির জ্যোতির্বিজ্ঞানী জন জে টোবিন একটি বিবৃতিতে বলেছেন, “আমরা এখন আমাদের সৌরজগতে সূর্যের গঠনের আগে থেকে জলের উৎপত্তি খুঁজে পেতে পারি। জলের অণু সাধারণত দুটি হাইড্রোজেন অণু এবং একটি অক্সিজেন অণু দ্বারা গঠিত। কিন্তু গবেষকদের দল V883 Orionis-এ কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করেছে।
V883 Orionis-এর, গবেষকরা ভারী জল খুঁজে পেয়েছেন, যেখানে একটি হাইড্রোজেন অণু ডিউটেরিয়াম নামক একটি ভারী আইসোটোপ দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়েছে। আমরা যে জল ব্যবহার করি এবং ভারী জল উভয়ই বিভিন্ন পরিস্থিতিতে গঠিত হয়। গবেষকরা এখন খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন কখন জলের অণু তৈরি হতে শুরু করে।