বাংলার গর্ব জিয়াগঞ্জের সন্তান। খ্যাতির শিখরে পৌঁছেও “অরিজিৎ সিং” (Arijit Shing) মাটির মানুষ। আসমুদ্র হিমাচল তার গানে মুগ্ধ। এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হল অরিজিতের রেস্তোরাঁ। “হেঁশেল” নামের রেস্তোরাঁটি কি সত্যিই বিশ্ববিখ্যাত গায়কের? জিয়াগঞ্জের ওই রেস্তোরাঁয় পৌঁছে জানা গেল, রেস্টুরেন্টটি সঙ্গীত শিল্পী অরিজিতের পরিবার চালায়। সঙ্গীত জগতে তার খ্যাতির পাশাপাশি তার পারিবারিক রেস্তোরাঁ হেঁশেলের সুনাম ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
হেনশেলের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে জেলা, রাজ্য ছাড়িয়ে বিদেশেও। এমনকি ফেসবুকের কনটেন্ট ক্রিয়েটর এবং ফুড ব্লগারদের ভিড়ও সেখানে ধীরে ধীরে বাড়ছে। মুর্শিদাবাদ বাঙলা, বিহার, ওড়িশার প্রাক্তন রাজধানী, দেশ বিদেশে আকরিক খনি হিসেবেও পরিচিত। ইতিহাসের কারণে, প্রতি বছর প্রায় ১.২ মিলিয়ন পর্যটক মুর্শিদাবাদে পা রাখেন।
তাদের মধ্যে প্রায় ৪,০০০০০ বিদেশী পর্যটক রয়েছে। দেশ-বিদেশের পর্যটকরা লালবাগে পা রাখলেই বাদ্যযন্ত্রের নির্দেশে অনেকেই পৌঁছে যান লালবাগ থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে জিয়াগঞ্জে। শিল্পীর বাড়ি দেখার পাশাপাশি তাকে চাক্ষুষ দেখার আশায় অনেকেই জিয়াগঞ্জে যান। আর ভোজনরসিকদের অবশ্যই অরিজিতের পারিবারিক রেস্তোরাঁ ‘হেঁশেল ‘ দেখতে হবে।
অরিজিৎ সিংয়ের বাবা সুরেন্দ্র সিং ওরফে কাক্কা সিং সকাল ১১টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত দেশ-বিদেশের অতিথিদের সামলাতেন। শহরে থাকলে অরিজিৎ নিজেই রেস্টুরেন্ট পরিচালনা করেন। তাই বিশ্ব বিখ্যাত গায়ককে দেখার আশা নিয়ে হেঁশেলে অনেক মানুষ যান।
তবে ব্যবসাই মুখ্য নয়, এই রেস্তোরাঁ খোলার পেছনে অন্য কারণ রয়েছে। কাক্কা সিং, যিনি অফ-ক্যামেরা প্রচারের বিরুদ্ধাচরণ করেন, বলেন, “হেঁশেল চালানো শুধু অর্থ উপার্জন নয়। ২৯ জনের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি আমাদের মূলমন্ত্র হল সস্তা খাবার পরিবেশন করা। তার পারিবারিক রেস্তোরাঁ অন্যান্য সেলিব্রেটি রেস্তোরাঁ থেকে একেবারেই আলাদা।
অরিজিৎ নামে পরিচিত এই রেস্টুরেন্টের খাবারের দাম খুবই সাশ্রয়ী। Henschel ছাত্রদের জন্য বিশেষ ছাড় আছে। ৩০ টাকার ভেজ থালি সোম থেকে শনিবার শিক্ষার্থীদের পরিবেশন করা হয়। বর্তমানে ভেজ থালির মেনু তালিকা বাড়িয়ে ৪০ টাকা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে পার্সেলের ব্যবস্থাও রয়েছে। এছাড়া রাজধানী মুর্শিদাবাদ, বহরমপুরের তুলনায় খাদ্য তালিকার দাম প্রায় আড়াই গুণ কম।