মহারাষ্ট্রের বোইসারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন বরুণ কুমার বর্নওয়াল (varun baranwal)। অত্যন্ত গরীব পরিবারে জন্মগ্রহণ করলেও, পরবর্তীতে নিজের চেষ্টায় IAS হয়েছেন তিনি। বরুণের বাবার সাইকেল মেরামতের দোকান ছিল এবং বাবা মারা যাওয়ার পর সংসারের ভার তাঁর উপর এসে পড়ে।
ছোট থেকেই পড়াশুনায় ভালো ছিলেন বরুণ (varun baranwal)। বাবার সাইকেলের দোকান থেকে যা আয় হত, তাই দিয়েই ছেলেমেয়েদের পড়াশুনার পাশাপাশি সংসার চালাতেন বরুণের বাবা। বরুণের দশম শ্রেণীর পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৪ দিন পর তাঁর বাবা মারা যাওয়ার পর সংসারের ভার এসে পড়ে তাঁর উপর।
দশম শ্রেণীর পরীক্ষার ফল বেরোনর পর জানা যায়, বরুণ ক্লাসে প্রথম হয়েছেন। কিন্তু সেই সময় সংসারের পরিস্থিতি খারাপ থাকায় পড়াশুনার পাশাপাশি বাবার সাইকেলের দোকানে বসেন বরুণ। তবে সমস্যা পেছন ছাড়ল না বরুণের। স্কুলে ভর্তির জন্য যখন ১০ হাজার টাকার প্রয়োজন হল, সেই টাকা বরুণের কাছে ছিল না।
এই সময় তাঁদের পাশে এসে দাঁড়ালেন এক চিকিৎসক, যিনি বরুণের বাবার চিকিৎসা করেছিলেন। বরুণের পড়াশুনার খরচ দেন তিনি। তবে বরুণও তাঁকে নিরাশ করেননি। একটার পর একটা পরীক্ষায় প্রথম হতে থাকেন তিনি। পাশাপাশি দেখতে থাকেন বাবার সাইকেলের দোকানও।
টিউশনি করে বরুণের বড় দিদিও সংসারে খরচ যোগাতে শুরু করেন। অন্যদিকে স্কুলে যাওয়ার আগে এবং স্কুল থেকে ফিরে বাবার সাইকেলের দোকানে বসতে থাকেন বরুণ। এই ভাবে কখনও আবার স্কুলের ৬৫০ টাকার ফি দিতে না পারায়, টিউশনি শুরু করেন বরুণ। এইভাবে চলছিল তাঁদের সংসার। এরপর বন্ধু এবং শিক্ষকদের উৎসাহে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হন বরুণ। তবে টপার হওয়ায় স্কলারশিপের টাকায় তাঁর পড়শুনা চলত। পাশাপাশি তাঁর বন্ধুরাও তাঁকে অনেক সাহায্য করতেন।
এইভাবে ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স সম্পন্ন করে চাকরি করা শুরু করলেও, বরুণের মন পড়ে ছিল সিভিল সার্ভিসে যাওয়ার। সেই কারণে তিনি একটি কোচিং ক্লাসে যোগ দেন এবং ২০১৩ সালে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় ৩২ তম স্থান অর্জন করেন। বর্তমান সময়ে গুজরাটে একজন আইএএস হিসাবে কর্মরত রয়েছেন বরুণ কুমার বার্নওয়াল (varun baranwal)।