Skip to content

করোনা আবহে হারিয়েছেন স্বামীকে, আচারের ব্যবসা করে লভ্যাংশ দুস্থদের দান করেন বছর ৮৭-র ঊষা গুপ্তা

    করোনা আবহে বহু মানুষ তাঁদের প্রিয়জনকে হারিয়েছে। কেউ কাছের মানুষকে হারিয়ে ভেঙ্গে পড়েছেন, কেউ বা আবার নতুন করে জীবনে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। এই সময় উত্তর প্রদেশের রাজধানী লক্ষ্ণৌর বাসিন্দা ঊষা গুপ্তার (Usha Gupta) জীবনের গল্প সকলকে নাড়া দিয়েছে। করোনা কালে নিজের স্বামীকে হারিয়ে ভেঙ্গে না পড়ে আবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছেন তিনি।

    বছর ৮৭-র ঊষা গুপ্তা (Usha Gupta) এবং তাঁর স্বামী করোনা আবহে দুজনেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। ঊষা গুপ্তার স্বামী উত্তরপ্রদেশে সরকারি ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন এবং তিনি পেশায় একজন চিকিৎসক ছিলেন। তিন মেয়ে নিয়ে তাঁদের সংসার ছিল। তবে ঊষা গুপ্তা সুস্থ হয়ে ফিরে এলেও, তাঁর স্বামী জীবন যুদ্ধে হার মেনে নেয়। স্বামী মারা যাওয়ার পর ভেঙ্গে না পড়ে নাতনির কথায় নতুন ব্যবসা শুরু করেন ঊষা গুপ্তা।

    ২০২১ সালে নাতনি ডাঃ রাধিকা বাত্রার অণুপ্রেরণায় আচার ও চাটনির ব্যবসা শুরু করেন ঊষা গুপ্তা। রাধিকা নিজে একটি এনজিওর সঙ্গে যুক্ত থাকায়, ঊষা গুপ্তাকে সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পরামর্শ দেন। রাধিকার সাহায্যেই ব্যবসা শুরু করেন ঊষা গুপ্তা।

    এই কাজ শুরু করার সময় এক মাসে প্রথমে ২০০ বোতল বিক্রি করেছিলেন ঊষা গুপ্তা। এরপর ধীরে ধীরে স্যোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে নিজের ব্যবসা বিস্তার করতে শুরু করেন তিনি। শুধু তাই নয়, এই ব্যবসা থেকে যা লাভ হয়, সেই লভ্যাংশ করোনা রোগী এবং অন্যান্য দুস্থ মানুষদের মধ্যে দান করেন তিনি।

    জীবনের এই পর্যায়ে দাঁড়িয়ে নাতনির অণুপ্রেরণায় এই ব্যবসা শুরু করেন ঊষা গুপ্তা। সেইসঙ্গে তাঁর ব্যবসার নাম দেন ‘Pickled with Love’। রিপোর্ট বলছে, ৮৭ বছর বয়সে এই ব্যবসার মধ্য দিয়ে এখন অবধি ৬৫ হাজার মানুষের পাশে দাঁড়াতে পেরেছেন ঊষা গুপ্তা। শারীরিক কষ্টকে দূরে সরিয়ে ওষুধ খেয়ে দুস্থ মানুষের মুখে অন্ন তুলে দেন ঊষা গুপ্তা। তাঁর জীবনের গল্প অনেককেই অণুপ্রেরণা যোগায়।