খনিজ ভাণ্ডারে সমৃদ্ধ দেশ হওয়া সত্ত্বেও অন্য দেশ থেকে খনিজ তেল আমদানী করে ভারত (india)। প্রতি বছর আরব দেশ থেকে লক্ষ কোটি টাকার তেল আমদানী করতে হয় ভারতকে। যার ফলে প্রায় প্রতিদিনই বাড়তে থাকে পেট্রোল, ডিজেলের দাম। এই পরিস্থিতিতে ইলেক্ট্রিক গাড়ির (electric car) উপর বেশি নজর দিচ্ছে মানুষজন। এমনকি ইলেকট্রিক গাড়ি কেনার বিষয়ে বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থাও করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। এই ধরনের গাড়িতে একদিকে যেমন তেলের প্রয়োজন হয় না, তেমনি পরিবেশবান্ধব হল ইলেক্ট্রিক গাড়ি। এই গাড়ি চললে পরিবেশও দূষিত হয় না।
সবদিক বিচার করে তাই ভারতের অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রিগুলিকে ইলেকট্রিক গাড়ি (electric car) তৈরির উপর বেশি জোর দিতে বলা হয়েছে। তবে এসবের মধ্যে কিছুটা সুবিধা যেমন রয়েছে, তেমন রয়েছে কিছু অসুবিধাও। সুবিধা যেমন এতে কোন প্রকার তেলের প্রয়োজন হচ্ছে না, সেইসঙ্গে হচ্ছে না পরিবেশ দূষণও।
কিন্তু অন্যদিকে সমস্যা হল, ইলেকট্রিক গাড়ির (electric car) ব্যবহার বেশি হতে থাকলে, আজ থেকে ১০-১২ বছর পর প্রচুর পরিমাণে ইলেকট্রিক গাড়ি রাস্তায় চলাচল করবে। যার ফলে দেশের বিদ্যুতের চাহিদা বহুগুণ বেড়ে যাবে। আর এত পরিমাণ বিদ্যুৎ শুধুমাত্র কয়লা থেকে উৎপাদন করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। যার ফলে ভরসার পাত্র নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট, যার জন্য প্রয়োজন প্রচুর পরিমাণে ইউরেনিয়াম (Uranium)।
এবিষয়েও একটা সমস্যা রয়েছে। রুশ, কানাডা ও আফ্রিকার কিছু দেশ এই ইউরেনিয়াম (Uranium) রপ্তানি করে। সেক্ষেত্রে আবার সেই অন্যদেশের উপর নির্ভর করেই থাকতে হবে ভারতকে (india)। তবে এবিষয়ে কিছুটা হলেও চিন্তা দূর করে রাজস্থান (Rajasthan)। জানা গিয়েছে, রাজস্থানের সিকার জেলায় বেশ কিছু বছর আগে বহু কুয়োর জলের সাথে সামান্য ইউরেনিয়াম পাওয়া গিয়েছিল। আর তা খননের মাধ্যমেই পাওয়া গিয়েছে বিশাল ইউরেনিয়ামের (Uranium) ভান্ডার। পাওয়া গিয়েছে প্রায় ১২ মিলিয়ন টনের ভান্ডার। যা থেকে অনুমান করা যাচ্ছে, কয়েক দশক ধরে ভারতের অর্থনীতিকে সক্রিয় রাখতে পারবে এই ইউরেনিয়াম। আর ইতিমধ্যেই ভারতে ১০ টি নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট তৈরি কাজ শুরুও হয়ে গিয়েছে।