দেশে প্রতিনিয়তই বাড়ছে পেট্রোল ডিজেলের দাম। যার ফলে রাস্তায় বেরিয়ে গাড়ি চড়তে গেলে পকেট গড়ের মাঠে পরিণত হচ্ছে সাধারণ মানুষের। এই অবস্থায় যে সকল ব্যক্তির নিজস্ব গাড়ি রয়েছে, তাঁরা গাড়ি কেনার আগে ভালো করে গাড়ির মাইলেজ পরীক্ষা করে নিচ্ছেন। বর্তমান সময়ে এমনও দেখা গিয়েছে, গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে পেট্রোল ইঞ্জিনের বদলে অনেকেই ইলেকট্রিক স্কুটার (scooty) কিনছেন।
তবে একটা পদ্ধতি অনুসরণ করে আপনার কাছে থাকা পেট্রোল চালিত স্কুটারে আপনিও পেতে পারেন 130 kmpl পর্যন্ত মাইলেজ। রইল উপায়- সাধারণত অনেক স্কুটার যেমন Activa, Jupiter এবং Maestro 40-45 kmpl মাইলেজ দেয়। এমন কিছু সংস্থা রয়েছে যারা টপ মডেলের স্কুটারটিকে পেট্রোল থেকে বৈদ্যুতিক ইঞ্জিনে পরিবর্তন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
হোন্ডা কোম্পানির অ্যাক্টিভা টিভিএস কোম্পানির জুপিটার এবং হিরো কোম্পানির মেট্রো, সুজুকি অ্যাকসেস স্কুটারে সিএনজি কিট ইনস্টল করা যাবে। সিএনজি কিট বসানোর পর পেট্রোল ইঞ্জিন সিএনজিতে চলতে শুরু করবে। অর্থাৎ, আপনি সিএনজি এবং পেট্রোল উভয় দিয়েই স্কুটার (scooty) চালাতে পারবেন।
দিল্লিতে সিএনজি কিট তৈরি করে এমন একটি সংস্থা লোভাটো স্কুটারে সিএনজি কিট স্থাপন করছে। একটি সিএনজি কিট বসাতে লাগে ১৮ হাজার টাকা। LOVATO কোম্পানির মতে, ১ বছর স্কুটার চালিয়ে আপনি সহজেই ১৮ হাজার টাকা সাশ্রয় করতে পারবেন। এর আগে হোন্ডা কোম্পানি সিএনজি কিটসহ অ্যাক্টিভা স্কুটার লঞ্চ করেছে। যদিও এই স্কুটারের দাম বেশি ছিল, তাই মানুষ শুধু পেট্রোল ইঞ্জিনই কিনছিল। একটি সিএনজি কিট বসাতে সময় লাগে ৪ ঘণ্টা। কোম্পানি স্কুটারে একটি সুইচ ফিট করে। যা চেপে আপনি সিএনজি এবং পেট্রোল মোড পরিবর্তন করতে পারেন। স্কুটারটির সামনে দুটি সিএনজি সিলিন্ডার এবং সিটের নিচে এটি চালানোর জন্য একটি মেশিন রয়েছে।
একটি সিএনজি কিট ইনস্টল করে, একদিকে আপনি যেমন পেট্রোলের খরচ বাঁচাতে পারেন, তেমনই এর কিছু অসুবিধাও রয়েছে। আমরা আপনাকে বলি যে সিএনজি কিট সহ স্কুটারে লাগানো সিলিন্ডারটির ক্ষমতা মাত্র ১.২ কেজি। 120 থেকে 130 কিমি ভ্রমণের পর এই সিএনজি নিঃশেষ হয়ে যায়। সিএনজি স্টেশন খুঁজে পাওয়া সহজ নয়। পেট্রোল পাম্পের তুলনায় সিএনজি পাম্পের সংখ্যা কম। সিএনজিতে চললে স্কুটারের (scooty) কার্যক্ষমতাও কমে যায়। যার ফলে রাস্তায় বেরিয়ে আপনি সমস্যাও পরতে পারেন।