বর্তমান সময়ে মানুষের খাবারের তালিকায় একটি নাম বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে। আর এটি হল বিরিয়ানি। এই ‘বিরিয়ানি’ (Biriyani), শব্দটা শুনলেই একগাল হাসি দেখা যায় বেশিরভাগ মানুষের মুখেই। তরুণ প্রজন্ম থেকে শুরু করে মাঝবয়সী ব্যক্তি, সবার ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে বিরিয়ানি হলে আর কিছু চাই না। আতর দেওয়া সুগন্ধী চালের সঙ্গে একটা আলু এবং সর্বোপরি তুলতুলে মাংসের পিস, ভাবলেই জিভে চলে আসার মত অবস্থা।
এই বিরিয়ানির জন্য এক জায়গা থেকে অন্যত্র চলে যেতেও কোন কষ্ট হয় না ‘বিরিয়ানি লাভার’রদের। আর দাম, তা সে ১০০ টাকা হোক কিংবা ৫০০ টাকা, ভালো বিরিয়ানি হলে, আরও বেশি খরচ করতেও দ্বিতীয়বার ভাবে না মানুষজন। তবে এবার শোনা যাচ্ছে মাত্র ৩০ টাকাতেই নাকি পাওয়া যাচ্ছে বিরিয়ানি। তাও আবার আলু এবং মাংসের সহযোগে!
খুব বেশি দূরে যেতে হবে না এই ৩০ টাকার বিরিয়ানি খাওয়ার জন্য। বারাসাত সারদামণি গার্লস স্কুলের সামনেই পেয়ে যাবেন এই ৩০ টাকার বিরিয়ানি। কলেজ পাশ করেই রাস্তার উপর একটি গুমটিতে এই বিরিয়ানির দোকান দিয়েছেন নিলায়ন ভট্টাচার্য। তাঁর দোকানের সামনে আবার বেশ কয়েকটি বসার চেয়ার ও রয়েছে। যাতে করে আপনি বসেও খেতে পারবেন এই ৩০ টাকার বিরিয়ানি।
এই বিরিয়ানি খেয়ে স্থানীয় লোকেরা জানিয়েছেন, ‘মাত্র ৩০ টাকায় বিরিয়ানি, এতো ভাবাই যায় না। তবে অনেক গরীব মানুষ আছেন যারা, মাসে একবার হলেও এই দোকান থেকে ৩০ টাকা দিয়ে বিরিয়ানি কিনে খেতে পারেন। তবে এই দোকানের বিরিয়ানি আমরা অনেক আনন্দ এবং তৃপ্তি সহকারেই খেয়ে থাকি’।
নিজের দোকানের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হয়ে পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে নিলায়ন ভট্টাচার্য জানান, ‘এই এলাকায় অনেক কৃষক রয়েছেন। আর তাঁদের পক্ষে বাঙালির আবেগ এই বিরিয়ানি ১০০ টাকা দিয়ে কিনে খাওয়া সম্ভব নয়। সেই কারণে তাঁদের বিরিয়ানির স্বাদ নেওয়াতে এই দোকান খুলেছি। এখানে একসঙ্গে অনেক মানুষ খেতে আসায়, আমার বেশ লাভই হয়। আলাউ ছাড়া যেহেতু বিরিয়ানি হয় না, তাই একটি আলু এবং ৪০ থেকে ৫০ গ্রাম ওজনের এক পিস করে মাংসও থাকে এই বিরিয়ানিতে। আর এই বিরিয়ানি খেয়ে বেশ খুশিও আমার ক্রেতারা’।