ইউক্রেন (Ukraine) হামলার পর থেকে পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার (russia) তেল রপ্তানির উপর বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা জারী করেছিল। এইসক দেশ ঠিক করেছিল, রাশিয়া থেকে তেল রপ্তানিতে তাঁরা একজোট হয়ে বাঁধা দেবে। তবে এই দলের মধ্যে ভারতকে দেখা যায়নি। কাউকে ভয় না পেয়ে রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল ক্রয় করেছিল ভারত (india)। যার ফলে বাণিজ্যে নতুন মাত্রা পেয়েছে রুপি-রুবেল।
বর্তমান সময়ে আর লুকিয়ে চুরিয়ে নয়, সরাসরি রাশিয়া থেকে তেল কেনার এক নতুন পন্থা খুঁজে পেয়েছে ভারত। সংযুক্ত আরব আমিরাতের (UAE) মধ্য দিয়ে এই রাস্তা খুঁজে পাওয়ার ফলে আরবের মুদ্রা দিরহাম ব্যবহার করা হছে। পশ্চিমা দেশের নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ, বিপিসিএল এবং নায়ারা এনার্জি, এই দিরহাম দিয়েই রাশিয়া থেকে তেল কিনছে।
রাশিয়া থেকে তেল আমদানির উপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞার পরে ভারত রাশিয়ার জন্য অপরিশোধিত তেলের একটি প্রধান গ্রাহক হিসাবে অব্যাহত রয়েছে। জুন মাস থেকেই ভারতের শীর্ষ অপরিশোধিত তেল সরবরাহকারী হয়ে উঠেছে রাশিয়া। আগে যে কার্গো ইউরোপে যেত, এখন তা এশিয়ার দিকে আসছে। এই তেল ব্যারেল প্রতি ৬০ ডলারের নিচে বিক্রি হয়েছে। ভান্দা ইনসাইটসের প্রতিষ্ঠাতা বন্দনা হরি বলেছেন, ‘অশোধিত তেলের দর কষাকষির কথা বিবেচনা করে ভারত সম্ভবত রাশিয়ার কাছ থেকে দিরহামে অর্থ প্রদানের অনুরোধ গ্রহণ করতে প্রস্তুত’।
UAE দিরহাম ভারতীয় ক্রেতা এবং রাশিয়ান বিক্রেতাদের গ্রিনব্যাকের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞার জটিলতা ছাড়াই তুলনামূলকভাবে অনুমানযোগ্য মুদ্রা প্রদান করে। ভারত সংযুক্ত আরব আমিরাতের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার। কর্তৃপক্ষ দিরহাম এবং রুপির মধ্যে বাণিজ্য বাড়ানোর জন্য একটি প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করছে।
বেশিরভাগ তেল চুক্তি এখনও ডলারে করা হয়। ভারতের তেলমন্ত্রী বলেছেন, তিনি তেল কেনার ক্ষেত্রে দিরহামের ব্যবহার সম্পর্কে অবগত নন। হরদীপ সিং পুরি বেঙ্গালুরুতে একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘আপনি যদি আমাকে আনুষ্ঠানিকভাবে জিজ্ঞাসা করেন যে আমি এই পেমেন্ট চ্যানেলগুলি সম্পর্কে জানি কিনা তবে না, আমি জানি না। প্রয়োজনে কথা হবে’।