Skip to content

কঙ্গনা এবং উরফি’র মধ্যে টুইটারে যুদ্ধ শুরু! শিল্পকে ধর্ম থেকে আলাদা রাখার পরামর্শ উরফির, ইউনিফর্ম সিভিল কোড প্রয়োজন দাবি কঙ্গনার

    img 20230131 212814

    বিতর্কিত নারী হিসেবে পরিচিত বলিউড অভিনেত্রী “কঙ্গনা রানাওয়াত” (Kangana Ranawat)। প্রায়ই তার মন্তব্যের কারণে শিরোনামে থাকেন তিনি। সম্প্রতি একটি টুইটে অভিনেত্রী বলেছিলেন যে, ‘দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদের ভালবাসা এবং সমর্থনের কারণেই এখানকার মুসলিম অভিনেতারা সুপারস্টার হয়েছেন’। কঙ্গনার করা টুইটের জবাবে মুখ খুললেন ‘উরফি জাভেদ’ (Urfi Javed)।

    img 20230131 214602

     

    উরফি বলেছেন যে, ‘শিল্পকে ধর্ম থেকে আলাদা রাখা উচিত, অভিনেতা যে ধর্মেরই হোক না কেন, তাকে কেবল একজন অভিনেতার দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা উচিত’। উরফির এই প্রতিক্রিয়ার জবাবে কঙ্গনা লিখেছেন যে, তিনিও চান এটি যেন না ঘটে, তাই তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদীর কাছে অভিন্ন দেওয়ানী আইন দাবি করেন। যতক্ষণ পর্যন্ত দেশে অভিন্ন সিভিল কোড কার্যকর না হয়, ততক্ষণ এখানকার মানুষ নিজেদের মধ্যে বিভক্ত থাকবে।

    পাঠান ছবি নিয়ে সম্প্রতি একটি টুইট করেছিলেন কঙ্গনা। সেই টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘যারা পাঠানের সাফল্যকে ঘৃণার ওপর ভালোবাসার জয় বলছেন, তারা ভুলে যাচ্ছেন যে এটা এদেশের ৮০% হিন্দুদের ভালোবাসা ও সমর্থন, যারা এখানে মুসলিম অভিনেতাদের সুপারস্টার বানিয়েছে’। এর জবাবে উরফি লিখেছেন, ‘হে ঈশ্বর, এসব বিভেদমূলক কথাবার্তা কেন? মুসলিম অভিনেতা-হিন্দু অভিনেতা কেন করবেন। শিল্পকে কখনই ধর্ম থেকে আলাদা করা যায় না। অভিনেতারা শুধুই অভিনেতা’।

    উরফি জাভেদের এই টুইট নিয়ে চুপ করে বসে থাকেননি কঙ্গনা। উরফির টুইটের জবাবে তিনি লেখেন, হ্যাঁ প্রিয় উরফি, আপনার কথাগুলো সত্যি হলে সবার জন্য ভালো হতো কিন্তু বাস্তবতা অন্য কিছু, তাই এটা তখনই সম্ভব হবে যখন দেশে অভিন্ন সিভিল কোড কার্যকর হবে। এটা না হওয়া পর্যন্ত আমরা এ ধরনের সংবিধানে বিভক্ত থাকব। তাই আসুন আমরা নরেন্দ্র মোদী জির কাছে ২০২৪ সালের ইশতেহারে ইউনিফর্ম সিভিল কোড অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানাই।

    img 20230131 213227

    ইউনিফর্ম সিভিল কোড কি?
    অভিন্ন সিভিল কোড একটি ধর্মনিরপেক্ষ আইন যা দেশের সকল নাগরিককে সমতার অধিকার দেয়। এর বাস্তবায়ন হলে দেশে সব ধর্মের মানুষের জন্য সমান আইন হবে। বিবাহ, বিবাহ বিচ্ছেদ, সন্তান দত্তক, সম্পত্তিতে অধিকার চাওয়ার মতো অধিকার সমগ্র দেশে সকল ধর্মের মানুষের সমান হবে। এই কোড ধর্মীয় সংগঠনের তৈরি আইনের ঊর্ধ্বে হবে।