সন্ধ্যে হলেই হাতে রিমোট নিয়ে টিভির সামনে বসে পড়েন সিরিয়াল প্রেমী মানুষজন। স্টার জলসা থেকে শুরু করে একে একে জি বাংলা, কালার্স বাংলা- চ্যানেলে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে নিজের পছন্দের ধারাবাহিক দেখতে থাকেন আট থেকে আশি সকলেই। এক একজনের পছন্দ এক একরকম। কেউ দেখেন জি বাংলা, কেউ বা আবার স্টার জলসা।
দর্শকদের মধ্যে ধারাবাহিকের জনপ্রিয়তা বিচার করে আবার গল্পের মোড় বিভিন্ন দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। যা অনেক সময় দর্শকদের মনে ধরলেও, নেটিজনদের কটাক্ষের শিকারও হতে হয় নির্মাতাদের। তবে সম্প্রতি সময়ে জি বাংলার এক জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘উড়ন তুবড়ি’ (Uron Tubri)-র একটি প্রোমো নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছে স্যোশাল মিডিয়ায়। প্রোমো দেখেই নির্মাতাদের উদ্দেশ্যে নানারকম মন্তব্য করতে শুরু করলেন নেটিজনরা।
‘উড়ন তুবড়ি’ (Uron Tubri) ধারাবাহিকের শুরুতে দেখানো হয়েছিল গরীব পরিবারের মেয়ে তুবড়ি। তাঁর মা সাবিত্রী দেবী অর্থাৎ লাবণি সরকার চপ,কচুরির মত তেলে ভাজার দোকান চালান। সংসারের হাল ধরতে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর স্বপ্নকে বুকের মধ্যে চেপে রেখেই, মায়ের সঙ্গে দোকানের কাজে সাহায্য করতেন তুবড়ি। ছোট থেকেই অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে থাকা এই মেয়েটির স্বপ্ন ছিল বড় পুলিশ অফিসার হওয়ার।
এইভাবে চলতে থাকা ধারাবাহিকে কিছুটা অজান্তেই বড়লোক বাড়ির ছেলের সঙ্গে বিয়ে হয়ে যায় তুবড়ির। তারপর শুরু হয় তাঁর অন্য যুদ্ধ। শ্বশুড়বাড়িতে নানারকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তাঁকে। শাশুড়ির কারণে তুবড়ি এবং অর্জুনের মধ্যে প্রায়ই ভুল বোঝাবুঝি লেগেই থাকত। ধারাবাহিকের নিয়মিত দর্শকরা এই বিষয়গুলোর সঙ্গে বেশ ভালোভাবেই অবগত রয়েছেন।
তবে গোল বাঁধল ‘উড়ন তুবড়ি’ (Uron Tubri) সিরিয়ালের নতুন প্রোমো মুক্তি পাওয়ার পর। যেখানে দেখানো হয়েছে, পুলিশ অফিসার হয়েছেন তুবড়ি। আর সাদা পোশাকে শাশুড়ি মায়ের থেকে আশির্বাদ নিতে গেলে তাঁদের মধ্যে একটা ঝামেলা হয়। আর সেই সময় বাইরে থেকে পুলিশের টুপি এনে তুবড়ির মাথায় পড়িয়ে দেয় অর্জুন। এই প্রোমো দেখেই স্যোশাল মিডিয়ায় উঠেছে নিন্দার ঝড়। এক একজন ব্যক্তি এক একরকম কমেন্ট করেছেন। নানাভাবে কটাক্ষ করেছেন ধারাবাহিকের নির্মাতাদের। চপ শিল্প দিয়ে ধারাবাহিক শুরু হওয়ার পর কোনরকম পড়াশুনা ছাড়াই কিভাবে তুবড়ি একজন পুলিশ অফিসার হয়ে গেল, এখন এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে নেটদুনিয়ায়।
কেউ কেউ কমেন্টে লিখেছেন, ‘ওনার পোস্টিং কোন থানায়?’। আবার কেউ লিখেছেন ‘গাঁজাখুরি নাটক’। একজন তো লিখলেন, ‘কি সুন্দর লুচি বানিয়েই চাকরি পেয়ে গেল। পড়াশুনা করে আর লাভ নেই, চলো লুচি বানাই’। আর এই বিষয় নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক ট্রোল।