পাঞ্জাবি ভাষায় জোরার অর্থ সাহসী এবং পরাক্রমশালী। এটি ভারতীয় সেনাবাহিনীর অত্যাধুনিক লাইট ট্যাঙ্কের নাম। এটি একটি আর্মার্ড ফাইটিং ভেহিকেল (AFV)। এটি এমনভাবে তৈরি করা হবে যাতে এর বর্মটি সবচেয়ে বড় অস্ত্র দ্বারাও প্রভাবিত না হয়। ভেতরে বসে থাকা সৈনিক নিরাপদে থাকবে। এর ফায়ার পাওয়ার মারাত্মক হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এছাড়াও, এটি আরও ভাল গতিতে চলতে পারে। এর ভেতরে আধুনিক যোগাযোগ প্রযুক্তি স্থাপন করা হবে। জোরায়ার ট্যাঙ্কটি ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (DRDO) দ্বারা ডিজাইন করা হয়েছে। এই খবরে আপনি এখানে যে ছবিগুলো দেখছেন সেগুলো ডিআরডিও-র ডিজাইনের মডেল। এটি তৈরির কাজ দেওয়া হয়েছে লারসেন অ্যান্ড টুবাকে। আগামী দুই বছরের মধ্যে তাদের উৎপাদন শুরু হবে।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর এই ধরনের ৩৫০টি ট্যাঙ্কের প্রয়োজন। এই ট্যাঙ্কগুলির ওজন হবে মাত্র ২৫ টন। এগুলো চালাতে তিনজনের প্রয়োজন হবে। ট্যাঙ্কটির নামকরণ করা হয়েছে জেনারেল জোরোয়ার সিং কাহলুরিয়ার নামে, যিনি ১৮৪১ সালে চীন-শিখ যুদ্ধের সময় কৈলাস-মানসরোবরে একটি সামরিক অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ভারত তথ্য পেয়েছিল যে চীন লাদাখ সেক্টরে সীমান্তের পাশে ZTZ-04A এবং Type-15 লাইট ট্যাঙ্ক মোতায়েন করেছে।
ভারতীয় সেনাবাহিনীও তার পাশ থেকে এই হালকা ট্যাঙ্ক মোতায়েন করতে চায়। এর আগে ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে এই ধরনের ট্যাঙ্ক কিনতে চেয়েছিল। কিন্তু পরে এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তিত হয়। ইতিমধ্যে জোরাওয়ার প্রকল্পের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এটিই হবে দেশের প্রথম এই ধরনের ট্যাঙ্ক, যাকে বলা যেতে পারে মাউন্টেন ট্যাঙ্ক। হালকা হওয়ায় যে কোনো জায়গায় নিয়ে যাওয়া যাবে এই ট্যাঙ্ক।
এটা বিশ্বাস করা হয় যে, এর প্রধান কামান হবে ১২০ মিমি। এবং স্বয়ংক্রিয় লোডার। একটি দূরবর্তী অস্ত্র স্টেশন থাকবে, যেখানে একটি ১২.৭ মিমি ভারী মেশিনগান মোতায়েন করা হবে। মূলত এর ওজন কম হলেও শক্তি হবে মূল ব্যাটল ট্যাঙ্কের মতো। জোরাওয়ার লাইট ট্যাঙ্ক ২০২৩ সাল থেকে চালু হবে। এর ট্রায়াল চলবে ২০২৪ সাল পর্যন্ত। এরপর একে একে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হবে।