যদি আপনার সফল হওয়ার সংকল্প দৃঢ় হয় তবে আপনার পথে আসা সব বাধা এবং ব্যর্থতাগুলি আপনাকে কখনই হারাতে পারবে না। কথিত আছে, মানবদেহ ধারণ করার পর এই পৃথিবীতে অনেক অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়, কিন্তু সবচেয়ে কঠিন কাজ হলো দারিদ্র্যের কষাঘাত। এই দারিদ্র্য কাউকে শান্তিতে ঘুমাতে দেয় না, পেট ভরে খেতেও দেয় না, দুনিয়ার আরাম-আয়েশের সুযোগও নিতে দেয় না। কিন্তু আজ আপনাদের জানাবো আমাদের দেশের এমনই এক কন্যার কথা, যিনি দারিদ্র্যকে জয় করে সাফল্য অর্জন করেছেন।
এই সাফল্যের গল্প হল ঝাড়খণ্ডের “রিতিকা সুরিন” (Ritika Surin) এর, যাদের আর্থিক অবস্থা খুবই করুণ ছিল। কিন্তু তার বাবা-মা তাদের মেয়েকে সফল করার জন্য সব রকম প্রচেষ্টা করেছিলেন। এবং মেয়েটিও সাফল্যের উচ্চতায় পৌঁছে তার বাবা-মাকে বিখ্যাত করেছে, এবং অন্য মেয়েদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে ওঠেছেন। তার বাবা একজন পিয়নের দায়িত্ব পালন করেন। এবং মা মানুষের বাড়িতে পরিষ্কারের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
আজ সেই রিতিকা তার প্রথম প্রচেষ্টায় ২০ লাখ টাকার প্যাকেজের চাকরি পেয়ে তার বাবা-মাকে দারুণ আনন্দ দিয়েছেন। তার মা যে বাড়িতে কাজ করতেন সেই বাড়ির লোকজন রিতিকার পড়াশোনায় অনেক সাহায্য করেছিলেন। তারা তাকে টাকা দিয়েও সাহায্য করেছেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও বন্ধুরা রিতিকার পড়াশোনায় অনেক সাহায্য করেছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও অনেক সুবিধা পেয়েছেন।
রিতিকা তার পড়াশোনার সুবাদে প্রথম প্রচেষ্টায় সাফল্য অর্জন করে এবং আজ সে একটি সফটওয়্যার কোম্পানিতে ভালো চাকরি পেয়েছে। যার বেতন ২০ লাখ টাকা। বিশ্ববিদ্যালয়ের এসইও বলেছেন, ‘রিতিকা অন্যান্য শিশুদের জন্য অনুপ্রেরণা’। রিতিকার সাফল্যের গল্প আজ সর্বত্র আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে।