Skip to content

দুই দেশের মাঝেই অবস্থিত এই রেল স্টেশন, গল্প শুনলে চমকে যাবেন

    img 20230309 130911

    ভারতীয় রেল’কে (Indian railway) দেশের লাইফলাইন ও গণপরিবহনের মেরুদণ্ড হিসেবে বিবেচনা করা হয়। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ এই রেলপথ ধরেই নিজের গন্তব্যে পৌঁছে যান। ট্রেনপথে যাত্রা বেশ আমারদায়ক হওয়ার পাশাপাশি খুব সস্তাও। ভারতের গণপরিবহনের এই মেরুদণ্ডের প্রতিনিয়তই দেখভাল করে চলেছে রেল কর্তৃপক্ষরা। এবং দিন দিন বিশেষ সুবিধাও প্রদান করছে যাত্রীদের।

    img 20230309 130922

    যাত্রী সুবিধার্থে নানাসময়ে নানারকম নতুন নতুন নিয়ম জারী করে রেল কর্তৃপক্ষ। যদিও সেসব নিয়মে মাঝে মধ্যেই আবার বেশকিছু বদল করা হয়। তবে যাত্রাপথে এই রেলের পরিষেবায় আমরা যেমন একদিকে নামহীন রেল স্টেশন দেখেছি, তেমনই কিন্তু অন্যদিকে রয়েছে দুই দেশের মধ্যেকার বর্ডার এলাকায় থাকা রেল স্টেশনও। দেশভাগের পূর্বেকার এই রেল স্টেশন আজও স্বাধীনতার পূর্বেকার চিহ্ন বহন করে চলেছে।

    দেশ স্বাধীনতা অর্জন করার বহু পূর্বেই ব্রিটিশরা ভারতে রেল পরিষেবা চালু করেছিল। তবে একরকম রেল ব্যবস্থার পরিবর্তন করে সেখানে মডার্ন রেলওয়ের সূচনা হয়েছিল ভারত স্বাধীন হওয়ার পর। বর্তমান সময়ে রেল পরিষেবায় নানারকম উন্নতি করা হয়েছে। সেইসঙ্গে করা হয়েছে যাত্রী সুবিধার্থে নানারকম আয়োজনও।

    জানিয়ে রাখি, ভারতের প্রতিটি রেল স্টেশনকে ঘিরেই রয়েছে নানারকমের কাহিনী। সেরকমই একটি রেল স্টেশন হল মনু বাজার (manu bazar)। ত্রিপুরার ঢালাই জেলার অন্তর্গত নর্থ ইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলের অধীনে থাকা তেলিয়ামুড়া, আম্বাসা লাইনের মধ্যেই রয়েছে এই রেল স্টেশন।

    img 20230309 130933

     

    অবিভক্ত বাংলার সময় থেকেই লামদিং ডিভিশনের অন্তর্গত এই স্টেশনে দিনে মাত্র ৪ টি ট্রেন থামত। কিন্তু সীমানাভাগের সময় ব্রিটিশ প্রশাসক রাডক্লিফের আঁকা দাগ এমনভাবে গিয়েছে, যাতে করে দুইভাগে বিভক্ত হয়ে যায় এই স্টেশন। সেইদিন থেকে আজ অবধি অবিভক্ত বাংলার প্রমাণ হিসাবে দুই দেশের বর্ডার লাইনের মাঝে রয়ে গিয়েছে এই স্টেশনটি।