‘অ্যান্টিলিয়া’ এবং ‘সি উইন্ড’-র মত বিলাসবহুল বাড়ি দিয়ে নয়, আম্বানি পরিবারের গল্প শুরু হয়েছিল গুজরাটের চোরওয়াদ গ্রামের এক বাড়ি থেকে। নিজের স্বপ্নপূরণের জন্য মাত্র ৫০০ নিয়ে বাড়ি ছেড়েছিলেন ধীরুভাই আম্বানি (Dhirubhai Ambani)। এরপর শুরু হয় কঠিন যাত্রা। আর তারফলেই আজকের দিনে আম্বানিদের নাম জগত জোড়া।
জীবনের অনেক ওঠা পড়া সত্ত্বেও নিজের শিকড় কখনই ভোলেননি ধীরুভাই আম্বানি। জীবনের সাফল্যের চূড়ায় অতিক্রম করেও, গুজরাটের চোরওয়াদ সেই গ্রামের বাড়িটিকে ভোলেনি আম্বানিরা। গ্রামের সেই বাড়িটির নাম রেখেছে ‘ধীরুভাই আম্বানি মেমোরিয়াল হাউস’।
যখন ২০১১ সালের ২৮ শে সেপ্টেম্বরে ধীরুভাই আম্বানির (Dhirubhai Ambani) স্ত্রী কোকিলাবেন তাঁর স্বামীর স্মারক হিসাবে চোরওয়াদ গ্রামে পৈতৃক বাড়িটি উদ্বোধন করেন, তখন ধীরুভাইয়ের মৃত্যুর পর তাঁর দুই ছেলে মুকেশ আম্বানি এবং অনিল আম্বানির মধ্যে তৈরি হওয়া বিবাদের অবসান ঘটে। বর্তমানে এই বাড়ির একাংশ পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। এই স্মৃতিসৌধ পরিদর্শন করে আম্বানি পরিবারের সম্পূর্ণ গল্প জানতে পারেন।
এখানে একটি বিশাল গ্যালারিতে আম্বানি পরিবারের সাথে সম্পর্কিত কিছু ছবি রয়েছে। শুধু তাই নয়, বারান্দা, রুম, গেস্ট রুম এবং রান্নাঘর পুরানো দিনে বাড়িতে কেমন ছিল, তা এই বাড়ি থেকে জানতে পারবেন। সেইসঙ্গে এই বাড়িতে কিছু পুরানো ধাঁচের আসবাবও দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়াও একটি স্যুভেনির শপ রয়েছে যেখানে আম্বানি পরিবারের সঙ্গে সম্পর্কিত কিছু স্মারক জিনিস কিনতে পারেন পর্যটকরা।
জানলে অবাক হবেন এই বাড়ির একাংশ এখনও আম্বানি পরিবারের জন্য বন্ধ রাখা আছে। মাঝে মধ্যে তাঁরা সেখানে গেলে, সেখানেই সময় কাটান। এমনকি এই বাড়ির বড় বাগানের কিছুটা অংশ পর্যটকদের জন্য ছেড়ে রেখে, বাকিটা আম্বানিদের (Ambani) জন্য ব্যক্তিগতভাবে রাখা আছে। মুঘল ধাঁচের ঝর্ণা এবং মান্দানা পাথর দিয়ে এই বাড়ির বেশকিছু অংশ পরিবর্তন করা হয়েছে। জানিয়ে রাখি, প্রায় ১০০ বছরের পুরনো আম্বানিদের এই বাড়ি।