ভারতীয় রেলকে (indian railway) দেশের মেরুদণ্ড বলা হয়ে থাকে। এই রেলপথ ধরেই প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ তাঁদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছে যান। কেউ যান নিজের কাজে, কেউ বা আবার ভ্রমণের উদ্দেশ্যে। এই চলার পথে যাত্রীদের যাতে কোনরকম সমস্যা না হয়, তার জন্য প্রতিনিয়তই কাজ করে চলেছে ভারতীয় রেল। সেইসঙ্গে চালু করছে নানারকম নতুন নিয়ম।
ট্রেনে (train) করে দেশ বিদেশে প্রচুর ঘুরলেও, কখনও দেশের শেষ রেল স্টেশনে (last rail station) গিয়েছেন? এবার জেনে নিন দেশের সর্বশেষ রেল স্টেশন সম্পর্কে।
দেশের সর্বশেষ রেলস্টেশটি রয়েছে উত্তরাখণ্ডে অবস্থিত বদ্রীনাথ ধাম সংলগ্ন মানা গ্রামে। শুধু এটিই নয়, উত্তর-পূর্বের একটি গ্রাম দেশের শেষ গ্রাম, যেখানে বিহার এবং পশ্চিমবঙ্গের আরারিয়া জেলায় দেশের শেষ রেলস্টেশন রয়েছে।
আরারিয়ার জোগবানি স্টেশনকে দেশের শেষ রেলস্টেশন বলে মনে করা হয়। এখান থেকে পায়ে হেঁটে নেপাল যেতে পারেন পর্যটকরা। একই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের সিংহবাদ স্টেশনকেও শেষ স্টেশন হিসেবে ধরা হয়। এখান থেকেও মানুষ হেঁটে বিদেশ যেতে পারেন। এই স্টেশনটি বাংলাদেশের সীমান্তের কাছে অবস্থিত। এই স্টেশনে আগে কেউ যেত না। ব্রিটিশ শাসনামলে নির্মিত এই স্টেশনটি অনেকেই এখানে যেতে পছন্দ করেন না। স্বাধীনতার পর থেকে এটি জনশূন্য হয়ে রয়েছে।
রিপোর্ট বলছে, ১৯৭৮ সালে এই রুটে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়। এরপর ট্রেনের শব্দ শুনতে পান এখানকার মানুষ। আগে এখান থেকে ভারত থেকে বাংলাদেশে ট্রেন যাতায়াত করলেও পরবর্তীতে নেপালও এই রুটে যুক্ত হয়। দারুণ ব্যাপার হল সিংহবাদের রেলস্টেশন বাংলাদেশের এত কাছে যে এখান থেকে হেঁটেই যে কেউ এর সীমান্তে প্রবেশ করতে পারে।