Skip to content

মশার লার্ভা এই মাছের খাদ্য, ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া থেকে মুক্তি দেবে এই প্রজাতির চাষ

    img 20230318 132311

    মশা (Mosquito), যার সাথে আমরা বিশেষ ভাবে পরিচিত। মশার হাত থেকে রেহায় পেতে মানুষ বিভিন্ন রকম পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকে। তবুও রেহায় পাওয়া যায় না তাদের হাত থেকে। প্রায় সবাই মশা ও মশাবাহিত রোগের কারণে ভুগে থাকি। গ্রীষ্ম এসে গেছে, সামনেই বর্ষাকাল আসবে। এই সময়ে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়ার মতো বহু রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়তে শুরু করবে। তবে জানেন কী “গাম্বুসিয়া” নামের মাছ পালন করে এসব রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়?

    img 20230318 105014

    চলুন জেনে নেওয়া যাক এই সম্পর্কে বিস্তারিত। এই মাছের একটি বিশেষত্ব হল এটি জলে জন্মানো মশার লার্ভা খায়। এই মাছ মশার লার্ভা চেটে পরিবেশ রক্ষা করে। মশার লার্ভা সাধারণত জলের উপর ভাসতে থাকে, আর এই মাছের মুখ উপরের দিকে থাকে, যার কারণে এটি লার্ভা সহজেই খেতে পারে এবং খায়। গাম্বুসিয়া মাছ ডিম দেয় না, তবে বাচ্চা দেয়।

    যদিও বেশিরভাগ মাছ ডিম পাড়ে। এটি ৮০ থেকে ১২০টি বাচ্চা দেয় এবং ২৪ ঘন্টার মধ্যে তার নিজের ওজনের ৪০ গুণ লার্ভা খায়। গাম্বুসিয়া মাছের সবচেয়ে বিশেষ বিষয় হল, এটি যে কোনো জায়গায় পালন করা যায়। যদিও অন্যান্য অ্যাকোয়ারিয়াম মাছের জন্য অক্সিজেন প্রয়োগ করতে হয়, তবে এটি যে কোনও ড্রাম বা টবে রাখা যেতে পারে, এবং এর বাচ্চারা বড় হওয়ার সাথে সাথে অন্য জায়গায় সরিয়ে রাখতে হয়।

    img 20230318 105025

    এরা নতুন পরিস্থিতিতে দ্রুত খাপ খাইয়ে নিতে পারে। গাম্বুসিয়া হল প্রায় ৪-৭ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্যের ছোট মাছ যা মিঠা জলে পাওয়া বিভিন্ন জীব যেমন জুপ্ল্যাঙ্কটন (জলের মাছি, পৃষ্ঠের কীট) খায়। মাছগুলি নতুন পরিবেশ এবং জলবায়ুর সাথে খাপ খাইয় চলতে পারে। এভাবে আয়ও বাড়ে ও মানুষ খুব আগ্রহ নিয়ে গাম্বুসিয়া মাছ খেয়ে থাকে। এই কারণে বাজারে এর চাহিদা যেমন রয়েছে, তেমনি মশার বিরুদ্ধে কার্যকরী হওয়ায় এখন এর চাহিদা দ্বিগুণ হয়েছে। চাষি ভাইরা এই মাছ সহজেই উৎপাদন করে তাদের লাভ দ্বিগুণ করতে পারেন।