‘তিতির’ পালনে ভালো লাভ হয়, কিন্তু জানেন কি এই পাখি পালন করতে সরকারের কাছ থেকে লাইসেন্স নিতে হয়। লাভের দিক থেকে মুরগি পালনের চেয়ে তিতির চাষ বেশি লাভজনক। এটি বিশ্বাস করা হয় যে, এই পাখিটি বছরে ৩০০ টিরও বেশি ডিম দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। বাজারে মুরগির ডিমের চেয়ে এই পাখির ডিমের দাম বেশি। এর পাশাপাশি এদের মাংসও ব্যাপক হারে খাওয়া হয়।
তিতির শিকারে সরকারি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তিতিরের মাংস খুবই সুস্বাদু। তবে এই পাখিটি দ্রুত বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। এই কারণে সরকার তাদের শিকার করতে নিষিদ্ধ করেছে। আপনি যদি তিতির পালনে আগ্রহী হন, তাহলে সবার আগে আপনাকে সরকারের কাছ থেকে এর জন্য লাইসেন্স নিতে হবে। লাইসেন্স ছাড়া এই পাখি পালন আইনত অপরাধ হিসেবে গণ্য।
তিতিরের সংখ্যা বাড়ানোর প্রচেষ্টা চলছে। এই পাখিটি জন্মের ৪৫ থেকে ৫০ দিনের মধ্যে ডিম দিতে শুরু করে। এর ডিমে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, চর্বি এবং খনিজ রয়েছে। অনেক রোগে এর ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। খুব অল্প সময়ে ও পরিসরে এর ব্যবসা শুরু করা যায়। সরকার তিতির পালন ব্যবসায় উৎসাহিত করতে আর্থিকভাবে সাহায্য করে।
দেশের বিভিন্ন রাজ্যে তিতির পাখির সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি খামারিদের মুনাফা বাড়ানোরও কথা রয়েছে। এই পালনে খাবার ও জায়গার প্রয়োজন খুবই কম। তিতিরের আকার অন্যদের তুলনায় ছোট। এদের খাবারের চাহিদাও কম। এই প্রজাতির ব্যবসায় বিনিয়োগ খুবই কম। মাত্র ৪-৫টি তিতির পালন করে এর ব্যবসা শুরু করা যায়। এর মাংসও বাজারে মুরগির মাংসের চেয়ে ভালো দামে বিক্রি হয়। এই ব্যবসা থেকে আপনি ভালো টাকা আয় করতে পারেন।