শ্রীলঙ্কা সংকটের পরে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (Reserve Bank of India) পক্ষ থেকে সমস্ত রাজ্যের আর্থিক স্বাস্থ্যের একটি বিশদ মূল্যায়ন করা হয়েছে। যেখানে ৫ টি দরিদ্র রাজ্যের উল্লেখ করা হয়েছে। যে ৫ রাজ্য আর্থিক দিক থেকে দুর্বল, তাঁর মধ্যে রয়েছে বিহার, পাঞ্জাব, কেরল। তবে পশ্চিমবঙ্গ এবং রাজস্থান অন্যান্য বিমারু (BIMARU) রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এই বিষয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (Reserve Bank of India) জানিয়েছে, ২০১১-১২ থেকে ২০১৯-২০ সাল পর্যন্ত এই রাজ্যগুলোতে রাজস্ব ঘাটতি এবং জিডিপির অনুপাত ছিল ২.৫ শতাংশ। তবে তিন শতাংশ পর্যন্ত বজায় রাখার কথা বলা হলেও, ২০২০ সালের করোনা মহামারির দরুণ পরিস্থিতি আর ও খারাপ হয়ে যায়।
তবে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মতে, আগামী বছর গুলোতে আবারও ঘুরে দাঁড়াতে পারে গুজরাট, মহারাষ্ট্র, দিল্লি, কর্নাটক এবং ওড়িশা। তবে ২০২৬-২৭ সালে ঋণের অনুপাতের দিক থেকে সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে থাকতে পারে পাঞ্জাব। প্রায় ৪৫ শতাংশ অতিক্রম করতে পারে। তবে অন্যদিকে রাজস্থান, কেরালা এবং পশ্চিমবঙ্গ ৩৫ শতাংশ অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে।
সবথেকে বেশি ঋণ রয়েছে পঞ্জাব, রাজস্থান, কেরালা, অন্ধ্রপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ এবং হরিয়ানা, পশ্চিমবঙ্গ, বিহারের। আর এই রাজ্যগুলোকে ঋণের মাত্রা স্থিতিশীল করতে উল্লেখযোগ্য সংস্কারের পদক্ষেপ নিতে হবে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (Reserve Bank of India) রিপোর্ট বলছে, রাজস্ব অ্যাকাউন্টে প্রায় ৯০ শতাংশ ব্যয় করে রাজস্থান, পশ্চিমবঙ্গ, পঞ্জাব এবং কেরালা। আর ১০ শতাংশ ব্যয় করে গুজরাট, পাঞ্জাব এবং ছত্তিশগড়। যার ফলে এবার যদি নিজেদের রাজ্যের দিকে খেয়াল না দেয়, তাহলে বিপাকে পড়তে পারে এই রাজ্যের সরকার।