সেলিব্রেটিদের নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে বেশ কৌতুহল দেখা যায়। বড় পর্দায় দেখতে পাওয়া অভিনেতা-অভিনেত্রীদের জুটি ভক্তদের মন জয় করে। তবে বাস্তব জীবনে এই তারকাদের জীবনসঙ্গীরা দেখতে ঠিক কতটা মানানসই, তা নিয়েও অনুরাগীদের মধ্যে উত্তেজনা প্রবল। আলোচ্য বিষয় এমন কিছু দম্পতিদের সম্পর্কে জানবো, যারা একেবারেই বেমানান।
জুহি চাওলা ও জে মেহতা
৮০ এবং ৯০ এর দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী জুহি চাওলা ১৯৯৫ সালে বিয়ে করেছিলেন। তার স্বামী বিখ্যাত ব্যবসায়ী জয় মেহতা। জুহি ও জয় মেহতার জুটি একেবারেই পছন্দ হয়নি মানুষের। দুজনের বয়সে ৬ বছরের ব্যবধান। কিন্তু এই জুটি দেখে মনে হয় জুহির থেকে অনেক বছরের বড় জয়। যদিও জুহিকে এখনও আগের মতোই সুন্দর লাগে।
মহালক্ষ্মী ও রবীন্দ্র চন্দ্রশেখর
এই তালিকায় মহালক্ষ্মী এবং রবীন্দ্র চন্দ্রশেকরের নামও রয়েছে। মহালক্ষ্মী দক্ষিণ ভারতের একজন অভিনেত্রী। এবং রবীন্দ্র একজন দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা। দুজনেই ২০২২ সালে বিয়ে করেছিলেন। এই জুটি দেখে কেউ বিশ্বাসই করে না যে তারা স্বামী-স্ত্রী।
ভুমিকা চাওলা ও ভরত ঠাকুর
ভূমিকা চাওলা ও ভরত ঠাকুরের বিয়ে হয় ২০০৭ সালে। ভূমিকা চাওলা সুপারহিট ছবি ‘তেরে নাম’-এ কাজ করেছিলেন। এই ছবি থেকে তিনি বেশ জনপ্রিয়তাও পেয়েছেন। ভরত ঠাকুর পেশায় একজন যোগ শিক্ষক। ভূমিকা ও ভরতের জুটিও অমিল বলে মনে হয়।
ফারাহ খান ও শিরীষ কুন্দর
হিন্দি সিনেমার বিখ্যাত পরিচালক, কোরিওগ্রাফার এবং লেখক ফারাহ খান তার স্বামী শিরীষ কুন্দের থেকে প্রায় ৯ বছরের বড়। ফারাহ খান ও শিরীষ ২০০৪ সালে বিয়ে করেছিলেন। মানুষ এই অমিল দম্পতিকে বেশ কয়েকবার ট্রোলও করেছে। যদিও ট্রোলিংয়ে আপত্তি নেই দুজনেরই। ফারাহ ও শিরীষ এখন তিন সন্তানের বাবা-মা।
দেবলীনা ভট্টাচার্য এবং শাহনওয়াজ শেখ
দেবলীনা ভট্টাচার্য টিভি ইন্ডাস্ট্রির একজন বিখ্যাত অভিনেত্রী। ২০২২ সালে বিয়ে করেন দেবোলিনা ভট্টাচার্য। জিম প্রশিক্ষক শাহনওয়াজ শেখের প্রেমে পরেছিলেন দেবলীনা। দেবোলিনা যখন শানওয়াজের সাথে তার বিয়ের কথা প্রকাশ করেন, তখন তিনি প্রচণ্ড ট্রোলড হন। এই জুটিকে দেখেও মানুষ হতবাক হয়ে যায়।