ভারতের বেশিরভাগ মানুষ রোম্যান্টিক ছবি দেখতে পছন্দ করেন। তবে কিছু মানুষ আছেন যারা অ্যাকশন, কমেডি আবার থ্রিলার ছবি দেখতেও পছন্দ করেন। কিন্তু হরর অর্থাৎ ভৌতিক ছবি (c) দেখার মানুষ খুঁজলে খুব কম সংখ্যকই পাওয়া যাবে। ভুতের উপর বরাবরই মানুষের কিছুটা ভয় বা ভীতি কাজ করে। সেই কারণে এই ধরনের ছবি দেখার মানুষ খুব কম সংখ্যক পাওয়া যায়।
বলিউড, হোক কিংবা টলিউড এমনকি হলিউডেও বেশ কিছু ভয়ঙ্কর ভুতের সিনেমা (horror movie) রয়েছে, যা দিনের বেলাতেও দেখলে গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠবে মানুষজনের। তবে এসবের মধ্যে বেশিরভাগই কাল্পনিক ঘটনার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়। তবে এমনও কিছু ভূতের চলচ্চিত্র রয়েছে, যা বাস্তব ঘটনার উপর নির্মিত। আর এই ধরনের ছবি দর্শকদের বেশি আকর্ষণ করতেও দেখা গিয়েছে।

মহল (Mahal)- ১৯৪৯ সালে মুক্তি প্রাপ্ত এই ছবি বলিউডের হরর সিনেমার (horror movie) মধ্যে সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ছবি। এই ছবিতে দেখানো হয়েছে, এক ব্যক্তি একটি প্রাসাদে গিয়ে নিজের অতীত জীবনের মুখোমুখী হয়েছেন। এই ছবির বিষয়ে অভিনেতা অশোক কুমার জানান, এটি বাস্তব ঘটনার উপর ভিত্তি করে নির্মিত।

রাগিনী এমএমএস (Ragini M M S)- ২০১১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবিতে এক বাংলোতে রাত কাটানো এক দম্পতির গল্প দেখানো হয়েছে। সেখানে তাদের সঙ্গে ঘটমান সমস্ত অদ্ভুত ঘটনাগুলো ক্যামেরায় রেকর্ড করাL দেখানো হয় ছবিতে। জানা যায়, Netflix দেখতে পাওয়া এই ছবিটি বাস্তবে দিল্লী নিবাসী একটি মেয়ের জীবনের সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি।

কোয়েশ্চেন মার্ক (Question mark)- বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে ফিরে না আসা একদল ছেলেমেয়েদের গল্প নিয়ে তৈরি এই ছবিটিও বাস্তব ঘটনার উপর ভিত্তি করে নির্মিত। ২০১২ সালে মুক্তি পাওয়া এই ছবিতে দেখানো হয়েছিল, ঘুরতে গিয়ে ওই ছেলেমেয়েদের সঙ্গে ঠিক কি ঘটেছিল, তা এক ক্যামেরা বন্দি হয়ে যায়। আর তা নিয়েই ছবির গল্প।

ট্রিপ টু ভানগড় (Trip to Bhangarh)- বাস্তব জীবনে ভানগড়ের অনেক অলৌকিক ঘটনার সম্মুখীন হওয়া ব্যক্তিদের অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে নির্মিত ছবি ট্রিপ টু ভানগড়। ২০১৪ সালে মুক্তি পাওয়া এই ছবিতে দেখানো হয় বন্ধুদের একটি দল ভারতের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর জায়গা ভানগড়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করে। জানিয়ে রাখি, সূর্যাস্তের পরে এবং সূর্যোদয়ের আগে এই ঐতিহাসিক স্থানটিতে যাওয়া নিষিদ্ধ।

স্ত্রী (Stree)- ২০১৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবিতে দেখানো হয়েছে ভয়ংকর ভুতের গল্প, যা কর্ণাটকের নালে বা-এর গল্প অবলম্বনে তৈরি। এই স্থানের বাসিন্দারা বিশ্বাস করতেন একটি জাদুকরী প্রায়ই রাতে মানুষের পরিবার বা বন্ধুদের মতো কন্ঠস্বর করে দরজায় কড়া নাড়বে। তারা দরজা খুলে বাইরে এলেই তাদের হত্যা করতেন।