সম্প্রতি সময়ে মানুষের বিনোদনের সেরা মাধ্যম হয়ে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো। এই প্লাটফর্মে বিভিন্ন রকম প্রতিভা প্রদর্শন করতে দেখা যায়। এর পাশাপাশি বিভিন্ন রকমের ধাঁধা ও অপটিক্যাল ইল্যুশন মানুষকে বেশ আকৃষ্ট করছে। নেটিজেনরাও বেশ মজার সাথে এই ছবি গুলোর সমাধান করছে। বিগত দিনগুলোতে অনেক অপটিক্যাল ইল্যুশন ও ছবির মধ্যে পার্থক্য খুঁজে বের করা নিয়ে বেশ মাতামাতি চলেছে।
আজকের প্রতিবেদনে এমনই একটি মজার ছবি প্রদর্শিত হচ্ছে, যার পার্থক্য খুঁজে বের করাটাই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের কাছে চ্যালেঞ্জের। তো চলুন দেখে নেওয়া যাক আলোচ্য বিষয়ের এই পার্থক্য মূলক ছবিটি। যে ছবিটিতে মোট ১৫ টি অমিল বা পার্থক্য রয়েছে, যা খুঁজে বের করতে হবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে।
প্রথমত আপনাকে ছবিটি তীক্ষ্ণ দৃষ্টি ও মন দিয়ে ভালো করে দেখতে হবে। তাহলেই আপনি খুঁজে পেতে সক্ষম হবেন যে ছবি দুটির মধ্যে পার্থক্য কোথায়। কিছু পার্থক্য প্রথম দেখাতেই আপনি বুঝতে পারবেন, কিন্তু পরবর্তী কিছু অমিল খুঁজতে গেলে আপনাকে বেশ তীক্ষ্ণ নজরদারি করতে হবে। যদি ছবি দুটির মধ্যে সম্পূর্ণ পার্থক্য খুঁজে না পান, তাহলে অবশ্যই আমরা আপনাকে পার্থক্যগুলো খুঁজে পেতে সাহায্য করবো।
এতক্ষণে হয়তো আপনি পার্থক্যগুলি খুঁজে পেয়েছেন, আর যদি না পান তাহলে জানিয়ে রাখি প্রথম পার্থক্য যেটা ছবি দুটিতে মেয়েটার পরনের প্যান্টের রংটি ভিন্ন রয়েছে। এবং পায়ের দিকে তাকালে দেখা যাবে একটিতে জুতো পড়া আছে এবং অন্যটিতে খালি পায়ে। এরপর ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে দেয়ালে যে ঘড়িটি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে তার সময়ও আলাদা রয়েছে।
চিত্রে পরবর্তী পার্থক্য যেটা লক্ষ্য করা যায় দেয়ালে ঝুলন্ত ফটো ফ্রেম এর মধ্যে একটির আকার বড় এবং একটি ছোট। মেঝেতে পড়ে থাকা পুতুল দুটিও দুদিকে মুখ করা আছে। এবার যদি কোমট টিকে লক্ষ্য করা হয় তাহলে দেখবেন একটিতে দাগ রয়েছে এবং অন্যটি দাগ বিহীন। ঠিক কোমটের পাশেই বসে থাকা কুকুরটির মুখটিও আলাদা রকমের।
পরবর্তী পার্থক্য যেটা লক্ষ্য করা যায় কোমটের ঠিক পেছনের দেয়ালেই জালনার মতন যে অংশটি রয়েছে তার একটি খোলা ও একটি আটকানো। এছাড়া নিচের দিকে গোলাপি ও নীল রঙের দুটি বল দেখা যাচ্ছে। আরো প্রখর দৃষ্টি দিয়ে দেখলে দেখা যাবে টেবিলের সাথে যে দড়িগুলো বাধা আছে সেটার একটিতে কম ও একটিতে বেশি আছে এবং একটি দাগও দেখা যাচ্ছে। ঠিক এর ওপরে রাখা ব্রাশ দানীতেও পার্থক্য লক্ষণীয়। এবং শেষ পার্থক্য যেটা রয়েছে সেটা মেয়েটির মাথার চুলে ও হাতের বইটিতে।