যখনই ফিল্ম এবং টিভি তারকারা প্রেমের বিয়ের পথ বেছে নিয়েছেন, তখনই তাদের কোনো না কোনো প্রতিরোধের মুখোমুখি হতে হয়েছে। কখনো সমাজ, কখনো পরিবার তাদের সিদ্ধান্তে বিরক্ত ছিল। যখন তাদের পরিবার সেলিব্রিটিদের প্রেমের বিরুদ্ধে চলে যায়, তখন তারা পালিয়ে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। ভালোবাসার সামনে তারা ছিল অসহায়। আসুন, জেনে নেওয়া যাক এমনই ১১ জন তারকার সম্পর্কে।
বলিউড এবং টিভি জগতের অনেক তারকা রয়েছেন, যারা প্রেমের সামনে এতটাই অসহায় হয়ে পড়েছিলেন যে তারা পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়ে আলাদা জীবনযাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। প্রেমের টানে বাড়ি থেকে পালিয়েছেন। প্রেমের বিয়েতে সবচেয়ে বেশি বিরোধিতা আসে পরিবার থেকে, তাই নিজেদের আলাদা জগৎ গড়ে তুলেছেন তাঁরা। এমন তারকারা আজ তাদের নিজস্ব শর্তে জীবনযাপন করছেন।
বিপাশা বসু এবং করণ সিং গ্রোভার: বিপাশা বসুর মা করণের সাথে তার মেয়ের বিয়ের বিপক্ষে ছিলেন। কারণ, করনের এর আগে দুবার বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছিল। তিনি নিশ্চিত ছিলেন না যে তিনি বিপাশা বসুর সাথেও অনুগত থাকবেন। যদিও বিপাশা তার হৃদয়কে অনুসরণ করেছিলেন এবং করণকে বিয়ে করেছিলেন।
ভাগ্যশ্রী এবং হিমালয় দাসানি: ভাগ্যশ্রী একটি রাজপরিবারের সদস্য। তার বাবা-মা চাননি যে সে তার স্কুলের বন্ধুকে তার জীবনসঙ্গী করুক, কিন্তু ভাগ্যশ্রী তাকে গভীরভাবে ভালবাসতেন। তিনি রাজপ্রাসাদ থেকে পালিয়ে হিমালয়কে বিয়ে করেন।
মন্দিরা বেদী এবং রাজ কৌশল: ‘শান্তি’-এর মতো টিভি শোতে জনপ্রিয় হওয়া মন্দিরা বেদি তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে গিয়ে রাজ কৌশলকে তার জীবনসঙ্গী বানিয়েছিলেন। রাজ মারা যান ২০২১ সালে।
অর্চনা পুরন সিং এবং পারমিত: যখন পারমিত অর্চনা পুরন সিংকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন, তখন পারমিতের পরিবারের সদস্যরা তাকে মেনে নিতে রাজি ছিলেন না। পরবর্তীতে দুজনের বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করা ছাড়া উপায় ছিল না।
দেবীনা ব্যানার্জি এবং গুরমিত চৌধুরী: রিল লাইফের রাম-সীতা বাস্তব জীবনেও এক হয়েছিলেন। দুজনের পরিচয় এক কমন ফ্রেন্ডের মাধ্যমে। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, গুরমিতের পরিবার দেবীনাকে স্বীকৃতি দিতে চায়নি, তাই দুজনকেই বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করতে হয়েছিল। আজ দুজনে একসাথে খুব খুশি।
কৃষ্ণা অভিষেক ও কাশ্মীরা শাহঃ গোপনে বিয়ে করেছিলেন কৃষ্ণা-কাশ্মীরা। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রায় এক বছর পর তাদের বিয়ের কথা মানুষ জানতে পারে। প্রথম দিকে তাদের পরিবার বিয়ের বিপক্ষে থাকলেও পরে সবাই মেনে নেয়।