Skip to content

থামছে ট্রেন, ওঠানামা করছে যাত্রীরাও, আজও নাম নেই ভারতের দুই স্টেশনের!

    যাত্রাপথের যানবাহনের মধ্যে সবথেকে সুবিধাজনক মাধ্যম বলা হয় রেলপথকে। দেশের লাইফলাইন হল ভারতীয় রেল (indian railway)। ৭,৫০০ টিরও বেশি রেল স্টেশনে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ চলাচল করে।

    কোন স্থানে যাওয়ার পূর্বে আপনি যখন টিকিট কাটছেন, তখনই সেই স্থানের নাম, টিকিটের ভাড়া, তারিখ, সময় সব বিবরণই তুলে দেওয়া থাকে টিকিটে। তবে আমাদের দেশে এমনও রেল স্টেশন রয়েছে, যার কোন নাম নেই। পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খন্ডে দুটি রেল স্টেশনের সাইন বোর্ডে নামের স্থান আজও ফাঁকাই রয়েছে।

    পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলা সদর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে রায়না গ্রামে ভারতীয় রেল (indian railway) ২০০৮ সালে রেল স্টেশন তৈরি করলেও, এখনও সেই স্টেশনের (railway stations) কোন নামকরণ করা হয়নি। জানা যায়, রায়না এবং রায়নগর, এই দুই গ্রামের মধ্যে মতপার্থক্য থাকার জন্য আজও এই স্টেশন নামহীনভাবে রয়েছে।

    বর্ধমান স্টেশন থেকে ২০০ মিটার দূরে বাঁকুড়া-দামোদর রেলওয়ে রুটে ব্রডগেজ চালু হওয়ার পর রায়না গ্রামের কাছাকাছি একটি রেলস্টেশন (railway stations) তৈরি করা হয়। মাসাগ্রামের কাছে হাওড়া-বর্ধমান রুটের সঙ্গে এই লাইন যুক্ত করা ছিল।

    এত অবধি সবকিছু ঠিক থাকলেও, সমস্যাটা শুরু হয় নামকরণ নিয়ে। একদিকে রায়না গ্রাম এবং অন্যদিকে রায়নগর, দুগ্রামের মানুষেরাই তাঁদের গ্রামের নামেই এই স্টেশনের নামকরণ করার দাবি জানায়। রায়না গ্রামের কাছাকাছি হওয়ায় স্টেশনের নাম রায়না স্টেশন করার উপর বেশি জোর দেয় গ্রামবাসীরা।

    দুই জায়গার বাসিন্দাদের মধ্যেকার ঝামেলার কারণে আজও এই স্টেশন নামহীন ভাবে রয়েছে। বাঁকুড়া-মাসাগ্রাম নামে একটি ট্রেন অই স্টেশনে দিনে ৬ বার থামলেও, আজও সেই স্টেশন নামহীন ভাবে রয়েছে। স্বাভাবিকভবে কোন যাত্রী এই স্টেশন (railway stations) থেকে ট্রেন ধরতে এলে, নামহীন স্টেশন থেকে কিছুটা অবাকই হয়ে যান।

    অন্যদিকে ঝাড়খণ্ডের তোরিগামী রেললাইনে লোহারডাগার সামনে ২০১১ সালে একটি স্টেশন তৈরি হয়, যার এখনও নামকরণ করা হয়নি। এই স্টেশনের নাম প্রথমে বাদকিচাম্পি রাখা হলেও, গ্রামবাসীরা এবিষয়ে আপত্তি জানায়। তাঁদের দাবী এই স্টেশনের নাম কামলে রাখা হোক। রেল কর্তৃপক্ষ এবং গ্রামবাসীদের মধ্যেকার বিবাদের জেরে আজও এই স্টেশন নামহীন ভাবেই রয়েছে।