Skip to content

পাহাড়, ঝর্ণা, জলপ্রপাত কি নেই এখানে, বসন্তের ছুটি কাটাতে একবার ঘুরে আসতে পারেন এই গ্রামে

    img 20230302 203102

    ভ্রমণ পিপাসুরা বছরের প্রতিটা সময়ই ভ্রমণের পরিকল্পনা করেন। বর্তমান সময়ে অর্থাৎ বসন্তকালে ভারতে এমন কিছু স্থান রয়েছে যার প্রাকৃতিক দৃশ্য মুগ্ধ করবে আপনাকে। আলোচ্য বিষয়ে আমরা “পুরুলিয়া” (Purulia) ভ্রমণের কথা বলছি। বসন্তকালে লাল পলাশে ভরে ওঠে পুরুলিয়ার পরিবেশ। বহু বাঙালি পর্যটকরা এই সময় পাড়ি দেন পুরুলিয়া। এখনে ‘মুরগুমা’ নামক একটি জায়গা রয়েছে, যার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অবাক করে দেয় এখানে আসা পর্যটকদের।

    img 20230302 203300

    পুরুলিয়ার রুক্ষ মাটিতে এই জায়গা যেন সবুজের প্লাবন নিয়ে আসে। এই ছোট্ট পর্যটন কেন্দ্রে রয়েছে ছোট ছোট পাহাড়ের ঘেরা জলাশয়। চারিদিকে দেখা যাবে পলাশ, শাল, সেগুন, মহুলের সবুজ বন। মুরগুমা বাঁধ, হ্রদ বা জলাধারটি বেগুনকোদরের উত্তরে ঝালদা ব্লকের মধ্যে অবস্থিত এবং পুরুলিয়া শহর থেকে প্রায় ৫৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

    এটি পুরুলিয়া জেলার আদিবাসী গ্রাম, পুরুলিয়া (পশ্চিমবঙ্গ) এবং ঝাড়খণ্ডের সীমান্তে অবস্থিত। বাঁধটি কংসাবতী নদীর উপনদীতে অবস্থিত। মুরগুমা উইকএন্ডের জন্য খুব সুন্দর জায়গা। এখান থেকে অযোধ্যা পাহাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখা যায়। অযোধ্যা পাহাড় রেঞ্জের একটি অংশ হওয়ায়, মুরুগুমাকে প্রায়ই অতিথিরা স্টপওভার হিসাবে ব্যবহার করে।

    img 20230302 203313

    অযোধ্যা পাহাড়ের প্রধান আকর্ষণ যেমন লোয়ার ড্যাম, আপার ড্যাম, পাখি পাহাড়, বামনি জলপ্রপাত, তুরগা জলপ্রপাত, দেউলঘাটা মন্দিরের মতো অসাধারণ স্থান। মুরগুমা কলকাতা থেকে প্রায় ৩৭৫ কিলোমিটার দূরে। রূপসী বাংলা ট্রেন খুব সকালে পাওয়া যায়, যেটি কলকাতা এবং পুরুলিয়ার মধ্যে চলে। এই ট্রেনটি পুরুলিয়া পৌঁছায় রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ।

    img 20230302 203246

    এরপর আপনি একটি গাড়ি ভাড়া করে মুরগুমা পৌঁছাতে পারেন। এই জন্য আপনাকে রাঁচির রাস্তাটি ব্যবহার করতে হবে, এবং বেগুনকোদর হয়ে মুরগুমা যেতে হবে। দূরত্ব প্রায় ৪৫ কিলোমিটার এবং পুরুলিয়া যেতে এটি প্রায় ১ ঘন্টা ২০ মিনিট সময় নেয়। আরেকটি জনপ্রিয় ট্রেন হল হাওড়া চক্রধরপুর প্যাসেঞ্জার, ঝাড়খণ্ডের মুরি স্টেশনে পৌঁছায়। মুরি স্টেশন থেকে মুরুগুমা ৩৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই অসাধারণ স্থানে ভ্রমণ আপনার কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকতে পারে।