Skip to content

দেশকে প্রথম সোনা জিতিয়ে করেছিলেন ভারতীয়দের গর্বিত, রইল মুরলীকান্ত পেটকারের কাহিনী

    সফলতা প্রত্যেকের জীবনেই গুরুত্বপূর্ণ। এটি বিশ্বাস করা হয় যে সাফল্য পাওয়ার জন্য প্রায় সবাই কেবল তাদের জীবনে কঠোর পরিশ্রম করে না, তাদের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য সমস্ত প্রচেষ্টাও করে থাকে। দৃঢ় সংকল্প ও লক্ষ ঠিক রেখে যারা এগিয়ে যায় তারা অবশ্যই কোথাও কোন না কোন ক্ষেত্রে সাফল্য পায়। এই প্রতিবেদনে এমন এক ব্যক্তি রয়েছেন যিনি প্যারালিম্পিকে ভারতকে প্রথম পদক এনেদিয়েছিলেন।

    “মুরলিকান্ত পেটকার” যিনি একটি দুর্ঘটনায় তাঁর অঙ্গ হারিয়েছিলেন। তবে তিনি তাঁর জীবন সংগ্রামে কখনও হাল ছাড়েননি বা থেমে থাকেননি। রিপোর্ট অনুযায়ী, মুরলিকান্ত ১৯৬৫ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধে গুরুতর আহত হয়েছিলেন। এই পাকিস্তানি হামলায় তিনি পালানোর চেষ্টা করার সময় একটি আর্মার ট্রাকের সামনে পড়ে যান এবং গুলিবিদ্ধ (৭ টি) হন।

    এই দুর্ঘটনার পর তার কোমরের নিচের অংশ অকেজো হয়ে যায়। কিন্তু তিনি কখনই তার দুর্বলতাকে নিজেকে আচ্ছন্ন করতে দেননি। তিনি খেলাধুলার মাধ্যমে ভারতকে সেবা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এবং ভারতের জন্য প্রথম পদক জিতে ছিলেন। কিন্তু এই সব করা তার জন্য এত সহজ ছিল না। মুরলিকান্ত পেটকর মহারাষ্ট্রের সাংলি জেলার ইসলামপুরে জন্মগ্রহণ করেন।

    তিনি ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলার সাথে যুক্ত ছিলেন এবং প্রথম থেকেই দেশসেবার প্রতি তার আলাদা দৃষ্টি ছিল। তাই তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন। এবং কাশ্মীরে সেনাবাহিনীতে পদায়নও করেন। ততদিনে তিনি ছোটু টাইগার নামে বিখ্যাতও হয়ে গিয়েছিলেন। তার বীরত্ব দিয়ে একাধিক বাড় শত্রুদের পরাজিত করেছিলেন। যার কারণে সবাই তার বীরত্ব ও সাহসিকতার প্রশংসা করেছিলেন। সেনাবাহিনীতে তিনি ছিলেন অত্যন্ত বিশিষ্ট একজন ব্যক্তি।

    পরবর্তীতে মুরলিকান্ত ধীরে ধীরে খেলাধুলার মাধ্যমে নিজের নতুন পরিচয় তৈরি করতে শুরু করেন। আর্থিক অনটনের কারণে তিনি ঠিক মত প্রশিক্ষণ নিতে পারেননি। এমন পরিস্থিতিতে তাঁর দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ‘বিজয় মার্চেন্ট’। প্যারালিম্পিক খেলোয়াড় মুরলিকান্ত পেটকার জার্মানিতে ১৯৭২ সালে ভারতের জন্য প্রথম পদক জিতেছিলেন।