পৃথিবীতে প্রাণের উৎপত্তির রহস্য এমন একটি বিষয় যার উপর বিশ্বব্যাপী অনেক গবেষণা করা হয়েছিল। আসামে পড়ে যাওয়া উল্কাপিণ্ডের টুকরো নিয়ে এখন গবেষণা চলছে। আইআইটি খড়গপুর এবং জাপানের বিজ্ঞানীরা একসঙ্গে এই গবেষণা করছেন। ভারতীয় বিজ্ঞানীদের দাবি, এই উল্কাপিণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে আছে অনেক রহস্য। এটি পৃথিবীর জীবন সম্পর্কিত রহস্য সহজে বুঝতে সাহায্য করতে পারে।
ভারতের আসাম প্রদেশে একটি উল্কাপিণ্ডের টুকরো পড়েছিল। বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন যে, এটি একটি বিশাল গ্রহাণুর একটি অংশ ছিল যার ব্যাস ছিল ৬.৪ কিলোমিটার। ভয়ঙ্কর সংঘর্ষে ধ্বংস হয়ে যায় এই গ্রহাণুটি। এর এক টুকরো পড়েছিল আসামে। আসামে পাওয়া উল্কাটি মঙ্গল এবং বৃহস্পতির মধ্যবর্তী গ্রহাণু বেল্টের অন্তর্গত। আর এর মধ্যেই লুকিয়ে আছে পৃথিবীতে প্রাণের উৎপত্তির রহস্য এমনটাই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
আসামের গোলাঘাট জেলার কামারগাঁও শহরের কাছে উল্কাপাত হয়। এই সংক্রান্ত গবেষণা নিয়ে বিশ্বের বিজ্ঞানীদের মধ্যে কৌতূহল রয়েছে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা গ্রহে কীভাবে জীবন শুরু হয়েছিল তা বুঝতে ব্যাপক আগ্রহী। রাসায়নিক সংমিশ্রণ ইঙ্গিত দেয় যে, এটি সমস্ত তারা এবং স্টারডাস্টের মূলে শুরু হয়েছিল।
প্রথমবারের মতো, ‘ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি’ খড়গপুরের (IIT) গবেষকরা বাইরের সৌরজগতের একটি কন্ড্রাইট উল্কাপিণ্ডে খনিজ পদার্থের ভেসিকলের প্রমাণ পেয়েছেন। এটি জীবনের উৎপত্তি সম্পর্কে নতুন সূত্র প্রদান করতে পারে বলে দাবি করা হচ্ছে। এই গবেষণায় হিরোশিমা ইউনিভার্সিটি, জাপান এবং ফিজিক্যাল রিসার্চ ল্যাবরেটরি, আহমেদাবাদের গবেষকরা জড়িত।
খবর অনুযায়ী, বৃহস্পতি ও মঙ্গলের মাঝে যে গ্রহাণুপুঞ্জ রয়েছে সেখানে দুই গ্রহাণুর মধ্যে ধাক্কা লাগায় সেটি ছিটকে পৃথিবীতে এসে পড়ে। পরীক্ষকারী দলের থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, উল্কাপিণ্ডের মধ্যে অক্সিজেন, কার্বন, সোডিয়াম, সালফার এবং ম্যাঙ্গানিজের মতো উপাদান মজুদ রয়েছে। এই প্রত্যেকটি মৌলই প্রাণের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উপাদান।