চলছে রমজান মাস (Ramadan)। এই সময় মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা তাঁদের সর্বশক্তিমানের কাছে প্রার্থনা করে রোজা রাখেন। সারাদিনের উপোবাসের পর সন্ধ্যের সময় খাবার খেয়ে থাকেন। প্রায় এক মাস এইভাবে চলার পর আসে খুশির ইদ। এই সময় জেনে নিন এমনকী রান্নাঘরের বিষয়ে , যেখানে এই রমজান মাসে ২৪ ঘণ্টা খাবার রান্না হয়।
এই রাজকীয় রান্নাঘরে আগে শাক-সবজি খাওয়ার উৎসব হতো। এতে সব ধর্মের মানুষ অংশ নিতেন। বিশেষ ব্যাপার হল আজ ১৮৬ বছর পরেও চলছে এই রান্নাঘর। দিনে ৫০ কেজি পকোড়া তৈরি হয় এখানে। সেইসঙ্গে তৈরি হত কয়েক কেজি রুটি। শুধু তাই নয়, এখানে প্রচুর পরিমাণে ছোলার ডাল ও আলুর সবজিও তৈরি হয়। অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল মুসলিম রোজাদার যারা ইফতারি করতে অক্ষম তাঁদের এখানে বিনামূল্যে খাবার খাওয়ানো হয়।
বিশেষ বিষয় হল রোজাদাররা খাবার প্যাকেট করে বাড়িতে নিয়ে যান এবং সেখানে পরিবারের সঙ্গে ইফতারি করেন। এখানে সকল রোজাদারদের পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার দেওয়া হয়। তাঁদের চাহিদা মতন দেওয়া হয়, যাতে তাঁরা পরিবারের সঙ্গে বসে ইফতারি করতে পারেন।
এখানে সকাল ১১টা থেকে খাবার দেওয়া শুরু হয় এবং চলে সন্ধ্যার ইফতারির সময় পর্যন্ত। ইতিহাসবিদ ড. রবি ভট্ট জানান, মোহাম্মদ আলী শাহ ছোটে ইমাম বাড়া নির্মাণের পর ব্রিটিশদের কাছে ২৬ লাখ টাকা জমা দিয়েছিলেন।ন ব্রিটিশ শাসনের পর এই টাকা ইমাম বাড়া নির্মাণের জন্য হুসেনাবাদ ট্রাস্টের কাছে যায়, যার মাধ্যমে রান্নাঘর চালানো হচ্ছে। এই রান্নাঘরটি নবাব নিজেই শুরু করেছিলেন।
এখানে চাকর মুর্তুজা হোসেন ওরফে রাজু জানান, এটি নবাবদের আমলের রান্নাঘর। একে বলা হয় রাজকীয় রান্নাঘর। এটি ২৪ ঘন্টা খোলা থাকে। খাবারটি একেবারে নিরামিষ এবং খাঁটি। এখান থেকে রোজাদারদের বিনামূল্যে খাবার দেওয়া হয়। নিরামিষভোজী হওয়ায় সব ধর্মের মানুষ এখানে এসে বিনামূল্যে খাবার খান। এখান থেকে সন্ধ্যায় ইফতারির জন্য হুসেনাবাদ ট্রাস্টে আগত মসজিদগুলোতেও খাবার পাঠানো হয় যাতে কেউ ক্ষুধার্ত না থাকে।