Skip to content

মাতাল মোরগ! মানুষও পারবে না টেক্কা দিতে, মদ ছাড়া শুরু হয় না দিন, না পেলে এমন কাজ করে যে..

    বলা হয় যে অ্যালকোহল একজন মানুষকে সম্পূর্ণ নষ্ট বা শেষ করে দেয়। কেউ যদি একবার মদ্যপানে আসক্ত হয়ে পড়ে, তবে তা আর সহজে ছাড়তে পারে না। তবে শুধু মানুষই নয়, পশুরাও এখন পাগল হয়ে যাচ্ছে এই মদের নেশায়। এমনই এক মদ্যপ মুরগির চমকপ্রদ খবর বেরিয়ে এসেছে মহারাষ্ট্র থেকে, যে মদ না খেয়ে থাকতে পারে না। মহারাষ্ট্রের এক মাতাল মুরগির খবর ভয়ঙ্করভাবে ভাইরাল হয়েছে।

    মুরগির প্রতিদিন ওয়াইন প্রয়োজন

    মুরগিটির মদের প্রতি এতটাই অনুরাগী যে প্রতিদিন মদ না পেলে সে কিছু খেতে বা পান করতে অস্বীকার করে। এটা জেনে অবাক হতে পারেন, কিন্তু এটা একেবারেই সত্যি। পুরো ঘটনাটি ভান্ডারা জেলার পিপারি গ্রামের, যেখানে এক কৃষকের বাড়িতে থাকা মুরগির মদ ছাড়া দিন শুরু হয় না। তথ্যমতে, খামারি ভাউ কাতোরও হাঁস-মুরগির শৌখিন। এমন অবস্থায় তিনি অনেক মুরগি লালন-পালন করেছেন।

    মালিক কখনও মদ পান করেননি কিন্তু মোরগ ‘দারুবাজ’

    কিন্তু এর মধ্যে তার একটি মোরগ মদের নেশায় এতটাই আসক্ত হয়ে পড়েছে যে প্রতিদিন মদ না খেয়ে থাকতে পারে না। মুরগির এই আসক্তির কারণে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। এখানে সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো মুরগির মালিক তার জীবনে কখনো মদ স্পর্শ করেনি। কিন্তু প্রতিদিন দোকানে যায় তার মাতাল মুরগির জন্য মদ কিনতে।

    এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন মালিক মদ পান না করলে এই মুরগির নেশা হলো কীভাবে? কয়েক মাস আগে একটি রোগের কারণে ভাউ কাতোর তার অনেক মোরগ ও মুরগি হারিয়েছিলেন। এমতাবস্থায় কারো কাছ থেকে তথ্যের ভিত্তিতে চিকিৎসা হিসেবে তার কিছু মুরগিকে মদ দেওয়া শুরু করেছিলেন তিনি। যদিও এরপর বাকি মুরগির মতো এই মোরগটিও সুস্থ হয়ে উঠলেও মদ্যপানে আসক্ত হয়ে পড়ে।

     

    যদি এই মুরগি অ্যালকোহল না পায়, তবে এটি শস্য এমনকি জল গ্রহণ করা বন্ধ করে দেয়। এমতাবস্থায় তার মুরগির মদের নেশা মেটাতে খামারি ভাউ তাকে প্রতিদিন মদ দেন। তিনি বলেন, এই মোরগটি এখন পরিবারের সদস্যের মতো হয়ে গেছে, তাই তাকে প্রতিদিন এটি পূরণ করতে হবে। তার মোরগের বর্ণনা দিতে গিয়ে ভাউ আরও বলেন, ‘মোরগ মদ ছাড়া জল খেতেও প্রস্তুত নয়। প্রতি মাসে আমাকে মদের জন্য ২,০০০ টাকা খরচ করতে হয়।