বর্তমান সময়ে এমন অনেকেই আছেন যারা বাড়িতেই নিজের কোন ব্যবসা করে নিচ্ছেন। আর দেখা যাচ্ছে সেই ব্যবসা হয়ত, কোন সবজি চাষের কিংবা ফল চাষের। আর এই চাষ করেই মাস গেলে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করছেন অনেকেই। সেরকমই একটি ব্যবসা হল আনারস চাষ (pineapple)।
ইংল্যান্ডের হেলিগানের লস্ট গার্ডেনে একটি আনারস তৈরি করতে প্রায় ২-৩ বছর সময় লেগে গিয়েছে। এই আনারসের নাম হেলিগান আনারস (heligan pineapple), যা বাগান থেকেই রাখা হয়েছে। তবে ইংল্যান্ডের জলবায়ু আনারস চাষের পক্ষে একবারেই উপযোগী নয়। সেই কারণে সেখানে অত্যন্ত কৌশলের সাহায্যে এই আনারস চাষ করা হয়ে থাকে।
রিপোর্ট বলছে, আনারসের ডিজাইন কাঠের পিট-আকৃতির পাত্রে তৈরি করা হয়। সেই কারণে একটি পাত্র থেকে একটি আনারসই শুধুমাত্র জন্মায়। আর সেই আনারসকে পুষ্ট করার জন্য ঘোড়ার সার দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে প্রায় লক্ষ টাকা খরচ হয় বলে জানা গিয়েছে। আর এই ফল হাই প্রোফাইল ব্যক্তিদের নিলামের মাধ্যমে উপহার দিয়ে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত উপার্জন করা যায়।
Heligan.com ওয়েবসাইট অনুসারে, ১৮১৯ সালে প্রথম এই আনারস ব্রিটেনে আনা হয়েছিল। হেলিগানের হারিয়ে যাওয়া উদ্যানে উপস্থাপন করা এই আনারস পাওয়ার প্রায় ৬০ থেকে ৭০ বছর পর ১৯৯১ সালে এর চাষ শুরু করা হয়। আবার হেলিগানের লস্ট গার্ডেনে জন্মানো এই উদ্ভিদ থেকে দ্বিতীয় আনারসটি রানি এলিজাবেথকে উপহার দেওয়া হয়েছিল। হেলিগানের উদ্যানপালকরা একটি আগের আনারস খেয়েছিল শুধুমাত্র এটির স্বাদ খারাপ কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য। জানিয়ে রাখি, প্রিন্স চার্লসও ১৯৯৭ সালে এই আনারস ফল দেখতে বাগান পরিদর্শনে এসেছিলেন।