টেলিভিশনের বিভিন্ন চ্যানেলে একের পর এক চলতে থাকে বিভিন্ন ধারাবাহিক। কিছু ধারাবাহিক অল্প দিনেই শেষ হয়ে যায়, আবার কিছু চলতে থাকে বছরের পর বছর। তবে এর মধ্যে আবার কিছু ধারাবাহিক দর্শকদের মনে দাগ কেটে যায়, যা আবারও যদি দেখানো হয়, তাহলে দর্শক আবার প্রথম থেকে দেখতেও রাজী। যা আজও সমানভাবে দর্শক টানতে সক্ষম। দেখে নিন সেরকম কিছু এভারগ্রীন ধারাবাহিক-
বোঝে না সে বোঝে না (Bojhena Se Bojhena)- চলচ্চিত্র ‘বোঝে না সে বোঝে না’ মুক্তি পাওয়ার পরপরই শুরু হয় ধারাবাহিক ‘বোঝে না সে বোঝে না’। স্টার জলসার এই ধারাবাহিকে দেখানো হয়েছিল একদিকে প্রাণোচ্ছল পাখি এবং অন্যদিকে রাশভারী, গুরুগম্ভীর অরণ্যের প্রেম। কিভাবে তাঁদের মধ্যেকার ঝগড়া প্রেমে বদলে গেল, তা এই ধারাবাহিকে সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছিলেন মধুমিতা এবং যশ। আজও এই ধারাবাহিকের সমান জনপ্রিয়তা রয়েছে দর্শকদের মধ্যে।
ওগো বধূ সুন্দরী (Ogo Bodhu Shundori)- বদমেজাজী ললিতা এবং শান্ত স্বভাবের ইশানের সংসার করার গল্প দেখানো হয়েছিল ‘ওগো বধূ সুন্দরী’ ধারাবাহিকে। স্টার জলসার এই ধারাবাহিক সেই সময় বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল। মা মরা মেয়ে ললিতার পরিবারে ছিল বাবা এবং এক ছোট বোন। ছোট থেকেই আদরে আদরে মানুষ হওয়া ললিতা কিছুটা বদমেজাজী প্রকৃতির ছিল। কিন্তু তাঁর সঙ্গে বিয়ে হয় একেবারে বিপরীত ধর্মী শান্ত স্বভাবের ছেলে ইশানের। শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে কিভাবে যৌথ পরিবারের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে সকলের ভালোবাসার মানুষ হয়ে ওঠা যায়, তা এই ধারাবাহিকে সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল।
সুবর্ণলতা (Subarnalata)- এই তালিকায় রয়েছে জি বাংলার ‘সুবর্ণলতা’ ধাবাবাহিক। ২০১০ সালে আশাপূর্ণা দেবীর ট্রিলজি উপন্যাসের দ্বিতীয় ভাগ ধারাবাহিকের আকারে সম্প্রচার করা হয়েছিল। সংসার করতে গিয়ে সবকিছু মুখ বুজে সহ্য না করে প্রতিবাদ করার মধ্য দিয়ে সুন্দর ভাবে এই ধারাবাহিক ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল। এই ধারাবাহিক আজও দর্শকমহলে সমানভাবে জনপ্রিয়। সেইসঙ্গে এই ধারাবাহিকের মধ্য দিয়ে ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রেক্ষাপটে নারী চরিত্রের সাথে একবিংশ শতাব্দীর গৃহবধূরা নিজেদের অনেক মিল খুঁজে পেয়েছিলেন।