আজ রথযাত্রা (Ratha Yatra)। এইদিনে ভগবান জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা রথে চড়ে তাঁদের মাসির বাড়ি বেড়াতে যান। দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশেষত পুরীতে (Puri) এই রথযাত্রা উপলক্ষ্যে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মহাসমারোহের সহিত ধুমধাম করে অগণিত ভক্তদের উপস্থিতিতে এই রথের রশিতে টান দেওয়া হয়, করা হয় ভগবানের আরাধনা।
কথিত আছে, হিন্দু ধর্মের চারটি ধামের মধ্যে অন্যতম একটি হল পুরীর জগন্নাথের মন্দির। ১১৭৪ সালে প্রথম এই মন্দিরের নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রতি বছর বিশেষত রথের সময় লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয় এই স্থানে। মানুষ পূণ্যার্জনের জন্য পুরীতে গিয়ে একবার হলেও, চেষ্টা করেন রথের রশিতে টান দিতে। তবে পুরীর এই মন্দিরে লুকিয়ে আছে একাধিক রহস্য, যা আজও অনেকেরই অজানা রয়ে গেছে।
পুরীর (Puri) মন্দিরের চূড়ায় একটি পতাকা লাগানো থাকে, যা সবসময় হাওয়ার বিপরীতে উড়তে দেখা যায়। আবার সন্ধ্যাবেলায় সমুদ্র পারে হাওয়া প্রভাবিত হওয়ার সময় পতাকাটি নিজেই নিজের দিক পরিবর্তন করে নেয়। কিন্তু এই ঘটনাটি কেন এবং ঠিক কি কারণের জন্য ঘটে, এর ব্যাখ্যা বিজ্ঞান এখনও দিতে পারেনি।
পুরীর মন্দিরে একটি সুদর্শনচক্র বসানো আছে। ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখবেন, আপনি যেদিক থেকেই দেখবেন, সুদর্শনচক্রটি মনে হবে আপনার দিকেই মুখ করে রয়েছে।
সাধারণ ভাবে দেখা যায়, দিনের বেলায় হাওয়া সমুদ্রের দিক থেকে তটের দিকে বয়ে যায় এবং সন্ধ্যার সময় তটের দিক থেকে সমুদ্রের দিকে বয়ে যায় হাওয়া। কিন্তু পুরীর মন্দিরের কাছাকাছি এই হাওয়া উলটো ধর্মে প্রভাবিত হয়।
দিনের আলোতে সবকিছুর ছায়া পড়লেও, পুরীর মন্দিরের ছায়া কখনই পড়তে দেখা যায় না।
পুরীর মন্দিরের পাশাপাশি সমুদ্র থাকা সত্ত্বেও সমুদ্রের গর্জন মন্দিরের সিংহদুয়ার পার করে মন্দিরের মধ্যে কখনই প্রবেশ করে না। মন্দিরের ভেতরে সমুদ্রের আওয়াজ প্রবেশ না করলেও, মন্দিরের সিংহদুয়ারের বাইরে পা দিলেই আবার সমুদ্রের আওয়াজ শোনা যায়।
পুরীর (Puri) মন্দিরের কাছে শ্মশান থাকা সত্ত্বেও সেখানকার কোন মৃতদেহের পোড়া গন্ধ কখনই মন্দিরের ভেতরে প্রবেশ করে না।
ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে পুরীর মন্দিরের উপরে কোনদিন কোন পাখি উড়তে কিংবা উড়োজাহাজ উড়তে দেখা যায় না।