Skip to content

ভারতে শুরু হতে চলেছে হাইপারলুপ ট্রেন, চোখের পলকে যাত্রীরা পৌঁছে যাবে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী

    বর্তমানে দেশের দ্রুততম ট্রেন চালানোর কাজ দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে। রেলপথ মন্ত্রকও দ্রুত পরিবহণ প্রচারে কাজ শুরু করছেন। যখনই উচ্চ গতির যানবাহনের কথা আসে, তখনই বিমান বা বুলেট ট্রেনের নাম প্রথমে আসে। তবে হাইপারলুপ (Hyperloop ) ট্রেনও এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। হাইপারলুপ ট্রেন খুবই বিশেষ এবং এই ট্রেনের গতিও অনেক বেশি।

    এখন সারা দেশে হাইপারলুপ ট্রেন আনার মহড়াও জোরদার শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে দেশেই চলছে হাইপারলুপ ট্রেন তৈরির কাজ। সরকারের উদ্দেশ্যও এই ট্রেন তৈরির পর যাত্রীদের জন্য দ্রুতগতির ট্রেনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে যাতে কম সময়ে দীর্ঘ দূরত্ব অতিক্রম করা যায়। দেশীয়ভাবে হাইপারলুপ ট্রেন তৈরির বিষয়েও অনেক গবেষণা শুরু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

    তথ্য অনুযায়ী, হাইপারলুপ ট্রেনের গতি প্রায় ১০০০-১৩০০ kmph, কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত যাত্রাও মাত্র ২ ঘন্টার মধ্যে এই ট্রেনের দ্বারা কভার করা যায়। এটি অত্যন্ত আধুনিক প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে নির্মিত। তবে এখন দেশেই এই ট্রেন তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। খবর অনুযায়ী, আইআইটি মাদ্রাজকেও এই হাইপারলুপ ট্রেন নিয়ে গবেষণা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

    হাইপারলুপ প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা করার জন্য, আইআইটি মাদ্রাজেই এক্সেলেন্স সেন্টার প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে। আইআইটি মাদ্রাজের ছাত্রদের দলও গত কয়েক বছর ধরে এই প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে। অতএব, এখন এই বিষয়ে গবেষণা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আইআইটি মাদ্রাজের দল এই প্রযুক্তিতে কাজ করার জন্য অনেক প্রতিযোগিতায় পুরস্কারও জিতেছে।

    এখন হাইপারলুপ ভ্যাকুয়াম টিউব তৈরি হতে চলেছে আইআইটি ক্যাম্পাসেই। খবর অনুযায়ী, এ প্রযুক্তি নিয়ে অনেক দেশে কাজ চলছে। একই সঙ্গে ভারতও এই প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা শুরু করেছে। এই ট্রেনটি শুধুমাত্র ম্যাগনেটিক পাওয়ারে চলে। যদিও এই প্রযুক্তির ধারণাটি এনেছিলেন ‘ইলন মাস্ক’।