ছবিতে দেখা এই ডিম্পল মেয়েটিকে চিনতে পারছেন? বলিউডে তার একটি বড় নাম রয়েছে, তার কণ্ঠের ভক্ত লক্ষ লক্ষ শ্রোতা। পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি শোনা গায়িকার তালিকায় তার নাম রয়েছে। আলোচ্য বিষয়ে বলা হচ্ছে “আলকা ইয়াগনিকে”র (Alka Yagnik) কথা। সুন্দর হাসির এই মেয়েটি আজ চলচ্চিত্র জগতে নিজের জায়গা করে নিয়েছে। কণ্ঠে সমৃদ্ধ এই গায়িকা ছোটবেলা থেকেই গানের প্রতি অনুরাগী ছিলেন।
অলকা ইয়াগনিকের জন্ম ২০শে মার্চ ১৯৬৬ সালে। অলকার মা নিজেও একজন বড় গায়িকা ছিলেন। এমতাবস্থায় ছোটবেলা থেকেই অলক তার মায়ের কাছে গান শেখা শুরু করেন। তার মায়ের মতো, অলকারও সঙ্গীতের প্রতি অনুরাগ ছিল এবং মাত্র ৬ বছর বয়স থেকে তিনি অল ইন্ডিয়া রেডিওতে গান গাইতে শুরু করেন।
মা, শুভা জানতেন তার মেয়ে এত মেধাবী এবং সে ভবিষ্যতে বড় গায়িকা হতে পারে। এমতাবস্থায় অলকা একটি ভালো সুযোগ পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। অলকার বয়স যখন ১০ বছর তখন শুভ তাকে নিয়ে মুম্বাই আসেন। অলকা শিশুশিল্পী হিসেবে গান গাইতেন এবং মায়ের সঙ্গে রিয়াজ করতেন। একবার কলকাতার এক ডিস্ট্রিবিউটরের মাধ্যমে রাজ কাপুরে’র সঙ্গে তার মা শুভার দেখা হয়।
রাজ কাপুর যখন অলকের কণ্ঠস্বর শুনেছিলেন, তিনি খুব মুগ্ধ হয়েছিলেন, এবং তিনি অবিলম্বে অলকাকে লক্ষ্মীকান্ত পেয়ারেলালের কাছে পাঠিয়েছিলেন। রাজ কাপুরই একমাত্র ব্যক্তি যিনি অলকার প্রতিভাকে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। তিনি তার ব্যক্তিগত জীবনের জন্যও পরিচিত।
লক্ষ্মীকান্ত পেয়ারেলাল অলকার কণ্ঠে খুব মুগ্ধ হয়েছিলেন এবং তাকে রেকর্ডিং শিল্পীর অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। এরপর ধীরে ধীরে গানের জগতে যুক্ত হন অলকা। ‘টিপ টিপ বরসা পানি’, ‘চুরা কে দিল মেরা’, ‘লাড়কি বাদি অঞ্জনি হ্যায়’, ‘বাজিগর ও বাজিগর’, ‘আয় মেরে হামসাফর’, ‘আইসি দিওয়াঙ্গি’-এর মতো গান গেয়ে মানুষকে তার কণ্ঠে পাগল করে তোলেন অলকা।
ব্যক্তিগত জীবনের কথা বলতে গেলে, ১৯৮৯ সালে নীরজ কাপুরের সাথে অলকার প্রেমের বিয়ে হয়েছিল, কিন্তু কিছু সময়ের পরে তাদের দুজনের মধ্যে মতপার্থক্য শুরু হয়। দুজনেই প্রায় ২৭ বছর ধরে আলাদাভাবে বসবাস করছেন, কিন্তু দুজনের মধ্যে সম্পর্ক এখনও সৌহার্দ্যপূর্ণ। দুজনেরই একটি মেয়ে রয়েছে যার নাম সায়েশা কাপুর।