যাত্রাপথে অনেক সময় অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় মানুষকে। যার ফলে অনেক সময় ভীষণ বেগও পেতে হয় সাধারণ মানুষকে। সেরকমই এক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন ভোপালগড়ের (Bhopalgarh) বাসিন্দা মহেশ। ২০০৯ সালের ২৯ শে সেপ্টেম্বর ট্রেনে সফর করার পূর্বে মা এবং বোনের সঙ্গে নিজেরও একটি টিকিট কেটেছিলেন তিনি। আর সেটাই বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াল তাঁর জীবনে।
আর ৫ জন যাত্রীর মত সমস্ত ডিটেইলস দিয়ে তিনটে টিকিট (ticket) কেটেছিলেন ভোপালগড়ের (Bhopalgarh) বাসিন্দা মহেশ (Mahesh)। সেখানে তাঁর মা এবং বোনের সঙ্গে তাঁর নিজেরও একটি টিকিট ছিল। কিন্তু সমস্ত ডিটেইলস সঠিক দেওয়ার পরও মহেশের টিকিটে তাঁকে মহিলা বলে উল্লেখ করে রেল কর্তৃপক্ষ (indian railway)। আর সেখানেই ঘটে বিপত্তি।
টিকিটে ভুল দেখে রেলকর্মচারীকে সেই ভুল ধরিয়ে দিলেও, তা তিনি সংশোধন না করার বিপাকে পড়েন মহেশ (Mahesh)। যোধপুর রেলওয়ে স্টেশনে নামার পর সেখানকার ফ্লাইং স্কোয়াড তাঁর টিকিট পরীক্ষা করতেই পুরুষের স্থানে মহিলা দেখেন এবং তাঁর টিকিট (ticket) অবৈধ বলে মান্যতা দেয়। এমনকি তাঁকে টিকিটবিহীন যাত্রী বলে তাঁর থেকে জোর করে ৩৩০ টাকা জরিমানা আদায় করে নেয়।
এরপর রেলওয়ের যোধপুর ডিআরএম-এর তরফে জবাব পেশ করে আইনি আপত্তি দাখিল করে যাত্রীকে দায়ী করে দেখানো হয়। চলতে থাকে মামলা। এই ঘটনার প্রায় ১৩ বছর পর উভয় পক্ষের কথা শুনে কমিশনের চেয়ারম্যান ড. শ্যাম সুন্দর লতা, সদস্য ড. অনুরাধা ব্যাস, আনন্দ সিং সোলাঙ্কি সিদ্ধান্তে জানান, যাত্রীর কথা না শুনেই এবং টিকিট (ticket) পরীক্ষা না করেই টিকিট চেকিং দল অন্যায়ভাবে যাত্রীর থেকে জরিমানা নিয়েছে।
এখানেই শেষ নয়, কমিশনের পক্ষ থেকে আরও বলা হয় কর্মচারীদের ভুলের কারণে একজন সম্মানিত যাত্রী এবং তাঁর পরিবারকে রেল স্টেশনে অন্যান্য যাত্রীদের সামনে অপমানিত হতে হয়েছে। সেই কারণে, যাত্রীর থেকে নেওয়া জরিমানা বাবদ ৩৩০ টাকা এবং যাত্রীকে শারীরিক, মানসিক কষ্টের ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে। প্রায় ১৩ বছর পর যাত্রীর পক্ষেই রায় দিল কমিশন।