Skip to content

পৃথিবীর দীর্ঘতম নদের ধারেই গড়ে উঠেছিল মিশর সভ্যতা, রইল নীল নদের ইতিহাস

    img 20220918 112417

    মানুষের অস্তিত্ব ও সভ্যতার বিকাশে নদী সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে। ইতিহাস ঘাটলে জানা যায়, পৃথিবীর বড় বড় সভ্যতার জন্ম হয়েছে কোন না কোন নদীর তীরেই। ভারতের মহান হরপ্পা সভ্যতা সিন্ধু নদীর তীরেই গড়ে উঠেছিল। যা মানুষকে অনেক কিছু দিয়েছে।

    কৃষির বিকাশ থেকে শুরু করে পানীয় জল ও জলজ বাণিজ্য ইত্যাদির মাধ্যমে মানুষজন জীবিকা নির্বাহ করতে পারতেন। সেইসঙ্গে ঘটত মানুষের সভ্যতার বিকাশও। আর জানিয়ে রাখি, নীল নদের (nile river) তীর গড়ে উঠেছিল মিশরের মহান সভ্যতা।

    img 20220918 112427

    আফ্রিকা মহাদেশের পূর্বাঞ্চলে প্রবাহিত নীল নদ 6650 কিমি দীর্ঘ। বাণিজ্য, কৃষি এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবহন সম্পদ হিসাবে ইতিহাসের পাতায় এই নদের অবদান প্রচুর। আফ্রিকার ভিক্টোরিয়া হ্রদ থেকে নীল নদের (nile river) উৎপত্তি হয়ে ইথিওপিয়া এবং মিশর সহ 11টি আফ্রিকান দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। জানিয়ে রাখি, এই নীল নদেই আকারে বড় এবং প্রচুর পরিমাণে কুমির পাওয়া যায়। সেই কারণে এই নীল নদ ভয়ঙ্কর কুমিরের জন্য পরিচিত।

    img 20220918 112446

    মিশরের জনসংখ্যার অধিকাংশই নীল নদের (nile river) উর্বর মাটি এবং পর্যাপ্ত জলের প্রাপ্যতা থেকে উপকৃত হয়। তাঁদের জীবন, জীবিকা সবকিছুই নির্ভর করে এই নীল নদের উপরই। আবার মিশরের প্রাচীন সভ্যতে বিকাশ লাভ করেছিল এই নীল নদের কারণেই। এখানে নির্মিত বিশ্বের আশ্চর্যের অন্তর্ভুক্ত পিরামিডের পাথরগুলি শুধুমাত্র নীল নদ দিয়ে আনা হয়েছিল। নীল নদের অবদান ও গুরুত্বের কারণে প্রতি বছর এই নদীতে বিশেষ উৎসব পালিত হয়। যার নাম ‘ওয়াফা-ই-নিল’।