মধ্যপ্রদেশের খারগোনে চলা ঐতিহাসিক “মীনাক্ষী এক্সপ্রেস” (Minakshi Express) এখন চিরতরে বন্ধ হয়ে গেছে। প্রায় ১৪৫ বছর ধরে চলা এই ট্রেনটি এখন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, কারণ এখন ট্র্যাকটি আধুনিকীকরণ করা হচ্ছে। ট্রেনটি যখন শেষ যাত্রা করল, তখন স্থানীয় লোকজন আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। ১৪৫ বছর ধরে ট্র্যাকে চলমান মিটারগেজ মীনাক্ষী এক্সপ্রেস মঙ্গলবার (৩১শে জানুয়ারি) শেষবারের মতো ছুটেছে।
এই ট্রেনটি ব্রিটিশদের সময় অর্থাৎ প্রায় দেড় শতাব্দী ধরে মধ্যপ্রদেশের খারগোন জেলার ট্র্যাকে চলছিল। পুরানো এই ট্রেনটি শেষবারের মতো চলে যাওয়ায় মানুষের চোখ আর্দ্র হয়ে ওঠে। এই উপলক্ষে রেলওয়ের কর্মচারী ও জনগণ ট্রেনের চালককে ফুলের মালা দিয়ে সম্মান জানান। ট্রেনটি ১২৩ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করত। ব্রিটিশ আমলের মিটারগেজ এখন ব্রডগেজে রূপান্তরিত হবে।
এই ট্রেনটি মধ্যপ্রদেশের মহু এবং খান্ডোয়া জেলার মধ্যে ১২৩ কিলোমিটার যাতায়াত করত। এই ট্রেনটি যাত্রীদের চলাচলে অনেক অবদান রেখেছে। এই ট্রেনে করে মহু, ইন্দোর এবং আশেপাশের এলাকা থেকে বিপুল সংখ্যক যাত্রী বিখ্যাত ওমকারেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গের জন্য মর্ত্তক্কায় আসতেন। গত ৩১শে জানুয়ারি এই ট্রেনটিকে তার শেষ যাত্রার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ব্রিটিশ শাসনামলে মিটারগেজ ট্র্যাক তৈরি করা হয়েছিল, সেই ট্র্যাকে এই ট্রেন দীর্ঘ সময় যাবত চলত।
খবর অনুযায়ী, মীনাক্ষী এক্সপ্রেস ট্রেনের কার্যক্রম শেষ করে দ্রুত নির্মাণ কাজ শুরু হবে। এবং সমস্ত ট্র্যাকগুলি শীঘ্রই ব্রডগেজে রূপান্তরিত হবে৷ শেষ বারের মত ট্রেনটিকে চলতে দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন রেলের কর্মচারীরা ও আশপাশের মানুষ। ট্রেনের চালক ও টিসি শেষবারের মতো ট্র্যাকে ট্রেন চালাতে এলে লোকজন ফুলের মালা দিয়ে অভ্যর্থনা জানায়। খুশি মুখ ও ভেজা চোখে ট্রেনটিকে শেষ সবুজ সংকেত দেওয়া হয়।
এই ট্রেনের যাত্রার ইতিহাসের কথা মনে রেখে নাগরিকরাও এই সময়ে বিষণ্ণ ছিল, তাই তারাও এতে আনন্দ প্রকাশ করেছে। এখন এই ট্র্যাকের ব্রডগেজ পরিবর্তনের ফলে উত্তর থেকে দক্ষিণে সংযোগকারী এই ট্র্যাকটি উন্নয়নের নতুন দ্বার উন্মোচন করবে। নদীর উপর মজবুত রেলওয়ে সেতু ভেঙে ব্রডগেজের জন্য একটি নতুন সেতু নির্মাণের মহড়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে।