বর্তমান বাজারে জিনিসপত্রের দাম আগুন ছোঁয়া, তা কারো কাছেই অজানা নয়। তারই মধ্যে একটি হল মানুষের দৈনন্দিন জীবনের ভোজ্য তেল। আমাদের দেশে ব্যবহারিক ভোজ্য তেলের প্রায় ৬০ শতাংশ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। যার মধ্যে সূর্যমুখী তেল আনা হয় ইউক্রেন থেকে এবং পাম তেল আসে মালয়েশিয়া থেকে। কিন্তু এই গত কয়েক মাসে ভোজ্য তেলের মূল্য এত পরিমানে বেড়েছে যার ফলে মানুষ চাপের মধ্যে পড়েছে। তবে এই মুহূর্তে বিশ্বব্যাপী ভোজ্য তেলের দাম কমেছে এবং একইসঙ্গে ভারত সরকার মনে করেছে আমাদের দেশেও ভোজ্য তেলের দাম কমানো উচিত।
সম্প্রতি, বৈঠকে ভারত সরকারের নির্দেশ, ভোজ্য তেল প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি গত মাসে লিটার প্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা দাম কমায়। এখান থেকেই বিশ্বব্যাপী ভোজ্য তেলের দাম কমার ইঙ্গিত ছিল। দেশের খাদ্য সচিব সুধাংশু পান্ডে ভোজ্য তেলের দাম কমাতে প্রস্তুতকারকদের নিয়ে একটি বৈঠক ডেকেছিলেন এবং তেলের দাম কমানোর বিষয়টি সরকারের দিক থেকে আলোচনা করা হয়। কেননা বিশ্বব্যাপী ভোজ্য তেলের দাম প্রায় ১০ শতাংশ কমেছে, যাতে করে এই মূল্যো হাসের সুবিধা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যায় সেই দিকে নজর দিতে চলেছে সরকার।
আগামী সপ্তাহের মধ্যে ভোজ্য তেল প্রস্তুতকারকরা পাম তেল, সয়াবিন তেল ও সূর্যমুখী তেলের দাম লিটার প্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলেই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় খাদ্যসচিব। তিনি আরোও বলেন ভোজ্য তেলের দাম কমাতে পারলে অন্য রান্নার তেলের দামও কমবে। একইসঙ্গে, সারা দেশে একই ব্যান্ডের তেলের সমান MRP করতে বলা হয়েছে প্রস্তুতকারকদের সরকারের দিক থেকে। বর্তমানে একই ব্যান্ডের তেলের দাম জায়গায় জায়গায় ৩-৪ টাকা অন্তর রয়েছে। এই ব্যাপারটা প্রস্তুতকারকরা এক মত বলে জানিয়েছেন খাদ্যসচিব।
এদিন সারা দেশে খুজরো তেলের দাম কেজি প্রতি পাম তেল-১৪৪.১৬, সয়াবিন ও সূর্যমুখী তেল-১৮৫.৭৭, সর্ষের-১৭৭.৩৭, চিনি বাদামের তেল ১৮৭.৯৩ টাকা ছিল বলে জানিয়েছেন কনজিউমার অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রক।
এছাড়া বৈঠকে প্রস্তুতকারকদের সঙ্গে প্যাকেটে ভুল তথ্য দেওয়া নিয়ে আলোচনা করা হয়। কিছু কিছু কোম্পানির তেলের প্যাকেটে লেখা থাকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে প্যাকেট করা হয়েছে, কিন্তু ১৫℃ তেলের ওজন কমে যায়। খাদ্য সচিব ব্যাখ্যা করে বলেছেন, ১৫℃ ৯১০ গ্রাম তেলের ওজন করলে ৯০০ গ্রামের কম পাওয়া যায়। যা এই তথ্য প্যাকেটে লেখা থাকে না। আদর্শগতভাবে তেল প্যাক করা উচিত ৩০℃।