সাধারণত বিয়ে (Marriage) বলতে আমরা বুঝি দুই পরিবারের লোকজন একসঙ্গে মিলে আনন্দ হইহুল্লোড় করে, গান, বাজনা, রীতিনীতি, খাওয়া দাওয়ার মধ্যে দিয়ে কোন বাড়ি ভাড়া করে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনেকে আবার পালিয়ে গিয়ে মন্দিরেও বিয়ে করে থাকেন। কিন্তু ট্রেনের শৌচালয়ের (toilate) সামনে বিয়ে দেখেছেন কখনও?
শুনে অবাক হচ্ছেন! বাস্তবে ঠিক এমনই ঘটনা ঘটল সুলতানগঞ্জ ব্লকের ভিড়খুর্দের উধাডিহ গ্রামের দুই যুবক যুবতীর সঙ্গে। জানা যায়, আগে থাকতেই প্রেম ছিল আয়ুশ কুমার এবং অণু কুমারীর মধ্যে। কিন্তু তাঁদের এই সম্পর্কের কথা তাঁদের পরিবার জানতে পারায়, তাঁদের দেখা বন্ধ করে দেয়।
এইভাবে দুজনকে দুই বাড়িতে আটকে রেখে, না জানিয়েই গোপনে অণুর সম্মতি ছাড়াই এপ্রিল মাসে কিরণপুর গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে তাঁর বিয়ে দিয়ে দেয়। কিন্তু স্বামীর সঙ্গে সংসার করতে নারাজ ছিল অণু। সেই কারণে সুযোগ বুঝে বুধবার তাঁর বহু বছরের পুরোনো প্রেমিক আয়ুশের সঙ্গে পালিয়ে যায়।
তাঁরা পরিকল্পনা করেছিলেন সুলতানগঞ্জ স্টেশনে পৌঁছে ব্যাঙ্গালোরগামী ট্রেনে বসে রওনা হবেন। এরই মধ্যে ঘটে যায় সেই ঐতিহাসিক ঘটনা। সুলতানগঞ্জ স্টেশন থেকে ট্রেন ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিয়ের (Marriage) জন্য অণুকে চাপ দিতে থাকে আয়ুশ। শেষে উপায় না পেয়ে বিয়েতে রাজী হয় অণু।
তবে রাজী হলেও, তাঁরা তো ট্রেনে, সেখানে কি করে বিয়ে (Marriage) সম্ভব? অসম্ভবকেই সম্ভব করল অণু এবং রাকেশ। চলন্ত ট্রেনের শৌচালয়ের (toilate) সামনে দাঁড়িয়েই বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিলেন তাঁরা। আর সেই শৌচালয়ের (toilate) সামনে দাঁড়িয়েই অণুর সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দিলেন আয়ুশ। হয়ে গেলেন বিবাহিত দম্পতি।
স্যোশাল মিডিয়ায় বর্তমান সময়ে এই দৃশ্যের ছবি ব্যাপকহারে ভাইরাল (viral) হয়েছে। সেইসঙ্গে বিভিন্ন জনে নানা কমেন্টও করেছেন। কেউ কেউ বলেছেন, স্বামীকে ঠকিয়েছে অণু। আবার কেউ বলেছেন, ওদের ভালোবাসা জয়ী হয়েছে।