কোন দেশ কতটা শক্তিশালী তা অনুমান করা হয় সেই দেশের কাছে উপস্থিত অস্ত্র ও বর্তমান নতুন প্রযুক্তির যুদ্ধবিমান থেকে। আমরা জানি প্রতিটি দেশের সুরক্ষার জন্য সেনাবাহিনীর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি দেশের মতো আমাদের দেশেও এই 3 টি গুরুত্বপূর্ণ সেনাবাহিনী একসাথে আমাদের দেশকে সুরক্ষা দিতে প্রস্তুত। যাদের মধ্যে বিমান বাহিনী, সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর এই 3 টি গুরুত্বপূর্ণ বাহিনী আমাদের দেশকে রক্ষার জন্য বিশেষভাবে ভূমিকা পালন করে আসছে।
বর্তমানে সরকার এই বাহিনীকে আরো শক্তিশালী করতে নানান পদক্ষেপ গ্রহণ করছে এবং আধুনিক সরঞ্জাম সরবরাহ করার চেষ্টা করছে। ভারতীয় বিমান বাহিনীতে এমন অনেক ফাইটার এয়ারক্রাফট রয়েছে যেগুলি এক ঝটকায় অন্যদেশের বিমানকে ধ্বংস করতে পারে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যার কারণে, সরকার সেনাবাহিনীকে আরো শক্তিশালী করতে সেনাবাহিনীতে ফাইটার প্লেন সংযুক্ত করেছে।
আমাদের দেশকে শক্তিশালী করতে বিদেশ থেকেও বিমান কিনতে পিছিয়ে নেই ভারত। যদি আজকের দিনের কথা বলি আমাদের দেশ ‘মেক ইন ইন্ডিয়ার’ যুগ চলছে। তাই আমাদের সরকার চায় সেনাবাহিনী অস্ত্র ও যুদ্ধবিমান যেন ভারতের প্রযুক্তি অনুযায়ী হয়, এই জন্য আমাদের বিমান বাহিনী টাটা গ্রুপের (Tata group) সঙ্গে অংশিদারি করছে।
হ্যাঁ বন্ধুরা, আমাদের দেশের শক্তি বাড়াতে বায়ু সেনার জন্য ফাইটার জেট তৈরি করতে চলেছে টাটা গ্রুপ। সম্প্রতি এই নতুন চুক্তির মাধ্যমে নতুন বিমান বাহিনী ও ফাইটার প্লেন কেনার অনুমতি পাবে। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের দেশের বিমান বাহিনীতে নতুন যুদ্ধবিমান যুক্ত হবে। যেখানে ধারণা করা হচ্ছে দেশের শক্তি আগের তুলনা বাড়বে ও যে কোন পরিস্থিতিতে লড়াই করতে সক্ষম হবে। জানিয়ে রাখি, এর আগেও আমাদের দেশের বিমান বাহিনীর অনেক অংশীদারি হয়েছে। কিন্তু টাটা গ্রুপের এই চুক্তিকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন সরকার।
বর্তমানে আমেরিকান কোম্পানি লকহিড মার্টিনের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করার প্রতিযোগিতা চলছে। যেখানে দেশটি ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য F-21 বিমান তৈরির কাজ করছে। এর জন্য সংস্থাটি ইতিমধ্যে টাটা গ্রুপের সাথে একটি চুক্তি করেছে, 2021 সালে এই সংস্থাটি F-21 বিমানের ডানা তৈরির জন্য টাটা গ্রুপের সাথে উৎপাদন সুবিধা করেছিল। যদিও সেই সময় মেক ইন ইন্ডিয়া সফল ছিল না। যার কারণে এখন আমাদের ভারতীয় বিমানবাহিনী আন্তর্জাতিক ক্রয় ও ভারতীয় মডেলের উপর ভিত্তি করে কাজ করছে।
Tata Is set create history by becoming the first private company to build military aircraft in India.#Ariforce #Aircraft #Tata #survillance #SilcharLive #SL9
(Image For Representation) @Tiny_Dhillon @TimesNow @rigsophia83 @DiariesRajwar @adgpi @adgpi @spellbinder66 @NewsRajwar pic.twitter.com/w1RaQ625wk— Mudasir Tantary 🇮🇳 (@MudasirTantary) February 8, 2021
আমরা আপনাকে বলি, এই যৌথ উদ্যোগে C-295 বিমান তৈরির চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, এর সাথে আন্তর্জাতিক ও মেক ইন ইন্ডিয়া প্রযুক্তির শুরু হয়েছে। লকহিড মার্টিন কম্পানি বিশ্বাস করে যে, ‘ফাইটার জেটের জন্য একটি প্রোটোটাইপ উইংয়ের বিকাশ ইঙ্গিত করে যে, ভবিষ্যতে টাটা গ্রুপ সমস্ত জিনিসের মহাকাশের সহ নির্মাতা হতে পারে।’ এছাড়া তাদের ধারণা টাটা গ্রুপের সাথে এই ধরনের একটি চুক্তি একটি ভালো ব্যবসায়িক পদক্ষেপ।
Tata Sons to build a military aircraft. It has already acquired the rights to a German high-altitude twin-engine aircraft. A first in India.
@MugdhaCNBCTV18 brings you this report
Join @shreyadhoundial on #New18Debrief pic.twitter.com/otdwyikFhF
— News18 (@CNNnews18) February 4, 2021
এটি ভারতের সাথে তাদের সমস্ত চুক্তিকে আরও’ জোরদার করে এবং তারা টাটা গ্রুপের উপর একটি বড় আস্থা রাখে যন্ত্রপাতি তৈরিতে। তবে, কোম্পানির ‘বাই গ্লোবাল’ এন্ড ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ এই নীতি অনুসরণ করা লকহিডের এখনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি। বেশিরভাগ ব্যবসায় ‘বাই গ্লোবাল’ ও ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ বেছে নেওয়া হয়। লকহিড মার্টিন কোম্পানিটি অন্য যে কোন গ্রুপের তুলনায় এই গ্রুপকে দ্রুত অনুসরণ করবে বলে মনে করা হচ্ছে।