প্রচেষ্টা থাকলে জীবনে সফলতা আসবেই। বহু প্রতিকূলতার মধ্যে থেকেও জীবনে যে সফল হওয়া যায়, তার জ্বলন্ত উদাহরণ জয়পুরের ‘সুহানি’ (Suhani)। চলতি বছরেই মাধ্যমিক (Maddhyamik) পরীক্ষার্থী ছিলেন জয়পুরের বাসিন্দা ১৫ বছর বয়সী সুহানি শাকরওয়াল। খবর অনুযায়ী, তিনি দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
পরিবারের আর্থিক অবস্থা খুব বেশি ভাল ছিলনা সুহানিদের। কিন্তু কোনো প্রতিকুলতাই তাকে হার মানাতে পারেনি। দশম শ্রেণির পরীক্ষার ফলাফলে সুহানী ৯৬ শতাংশ নম্বর পেয়ে আলাদা অবস্থান অর্জন করেছে। তার খ্যাতিতে আনন্দিত পরিবার সহ এলাকার সকল মানুষজন। তবে বিশেষ ব্যাপার হল, সুহানির বাবা ও মা কেউই শিক্ষিত ছিলেন না।
তার বাবা, পেশায় একজন অটো চালক। পরিবার আর্থিক সমস্যার মুখোমুখি হয়েও সুহানিকে স্কুলে পাঠান এবং যথাসাধ্য তার লেখাপড়ার দিকে নজর দেন। করোনা মহামারীর সময়, সুহানির পরিবার এমন সময়ও দেখেছিল, যখন তার পরিবারকে অন্যের জামাকাপড় ধুয়ে নিজের সংসার চালাতে হয়েছিল। পারিবারিক সংগ্রাম সুহানিকে আরও বেশি অনুপ্রাণিত করেছিল।
সে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে পড়াশোনায় নিয়োজিত করেছিল। একদিকে সে দিনরাত পড়াশোনায় ব্যস্ত থাকতো, সেই সঙ্গে প্রয়োজনে গৃহস্থালির কাজে মায়ের হাতও ভাগাভাগি করতো। তার বাবা-মা প্রতিশ্রুতিশীল সুহানির কৃতিত্বে খুশি প্রকাশ করেছেন। এবং এটিকে তাদের মেয়ের কঠোর পরিশ্রমের ফল বলেও জানিয়েছেন।
যে স্কুলে সুহানি পড়ে, সেখানকার অধ্যক্ষ ‘দেবেন্দ্র কুমার ওয়াজাও’ সুহানির প্রশংসা করে বলেন, সুহানি প্রথম থেকেই পড়াশোনায় স্মার্ট। ভবিষ্যতে, সুহানি কমার্স নিয়ে সিএ হতে চায় যাতে সে তার পরিবারের অবস্থার উন্নতি করতে পারে। সুহানির ভবিষ্যতের জন্য শুভ কামনা রইলো। দৃঢ় প্রতিজ্ঞা ও কঠোর পরিশ্রম মানুষকে অবশ্যই একদিন সাফল্য এনে দেয়।