দেশ তথা বিশ্বের ধনকুবেরদের মধ্যে অন্যতম একজন হলেন টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান রতন টাটা (ratan tata)। বর্তমান সময়ে অন্যতম সফল শিল্পপতিও হলেন তিনি। প্রায়শই সংবাদ শিরোনামে থাকতে দেখা যায় তাঁকে। নিজের ব্যবসা সামলানোর পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডের সঙ্গেও যুক্ত থাকেন রতন টাটা। তবে এত সম্পত্তির মালিক হওয়া সত্ত্বেও, খুবই সাদামাটা জীবন যাপন করতে দেখা যায় রতন টাটাকে।
ব্যবসা শুরুর সময় ১৯৯১ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান থাকার পর ২৮ শে ডিসেম্বর ২০১২ সালে এই পদ ত্যাগ করেন রতন টাটা। তবে তিনি এখনও টাটা গ্রুপের চ্যারিটেবল ট্রাস্টের চেয়ারম্যান। কাজ নিয়ে সারাদিন ব্যস্ত থাকার মাঝেও কিন্তু স্যোশাল মিডিয়াতে বেশ সক্রিয় থাকেন রতন টাটা। অনেক সময়ই নানারকম বিষয়ে নেটদুনিয়ায় পোস্ট করতে দেখা যায় তাঁকে। শুধুমাত্র বিশেষ জিনিস পোস্ট করাই নয়, সেইসঙ্গে সামাজিক মাধ্যমে বেশ আপডেটও থাকতে দেখা যায় তাঁকে।
নেটদুনিয়ায় আপডেট থাকার মধ্য দিয়ে একটা সময় এক মহিলাকে ট্রোলিং-র হাত থেকে বাঁচিয়েও দিয়েছিলেন তিনি। বিষয়টা হল, কিছুদিন আগে নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ১ মিলিয়ন ফলোয়ার্স সম্পন্ন হওয়ার পর একটি পোস্ট শেয়ার করেছিলেন রতন টাটা (Ratan Tata)। সেখানে তিনি লিখেছিলেন, ‘একটি দুর্দান্ত অনলাইন পরিবার এটি। এখানে আমি যোগ দেওয়ার আগে অবধি এমনটা আশা করিনি। আপনাদের সকলকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই’।
বড় শিল্পপতির থেকে এমন ধন্যবাদ বার্তা পেয়ে, তাঁর প্রত্যুত্তরে সকলেই তাঁকে নানাভাবে শুভেচ্ছা বার্তা দিতে থাকেন। কিন্তু এরই মধ্যে ঘটে যায় একটি ঘটনা। rhea_jain_._ নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে অভিনন্দন সূচক কমেন্টে লেখা আসে, ‘Congratulations Chhotu’। আর এই কমেন্ট দেখেই রাগের পারদ চড়তে শুরু করে নেটিজনদের মধ্যে।
এতবড় একজন শিল্পপতিকে এভাবে ‘ছোটু’ বলে সম্বোধন করায়, স্যোশাল মিডিয়ায় ওই মহিলাকে তিরস্কার করতে শুরু করেন বাকি স্যোশাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা। সেইসঙ্গে তাঁকে নিয়ে শুরু হয়, নানারকম ট্রোলও। এই পরিস্থিতিতে ওই মহিলাকে ট্রোলের হাত থেকে বাঁচাতে, তাঁর রিপ্লাই কমেন্টে রতন টাটা (Ratan Tata) লেখেন, ‘আমাদের সকলের মধ্যেই একটি শিশু রয়েছে। দয়া করে এই তরুণীর সঙ্গে সকলে সম্মানসূচক ব্যবহারই করছেন’। মুহূর্তেই রতন টাটার এই কমেন্ট ভাইরাল হয়ে যায়।