আপনি যদি চাষের মাধ্যমে বাম্পার আয় করার প্রস্তুতি নিয়ে থাকেন, তাহলে আজ আমরা আপনার জন্য এমনই একটি আইডিয়া নিয়ে এসেছি। যা আপনার উপকারে লাগতে পারে। এটি ঐতিহ্যবাহী চাষের থেকে আলাদা এবং লক্ষ লক্ষ টাকা আয়ের সুযোগ রয়েছে। বর্তমানে গোল মরিচ চাষ করে মোটা টাকা আয় করছেন কৃষকরা। মেঘালয়ের বাসিন্দা ‘নানাদো মারাক’ ৫ একর জমিতে গোল মরিচ চাষ করেন। তার সাফল্য দেখে কেন্দ্রীয় সরকার তাকে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করেছে। মারাক প্রথম ‘কারি মুন্ডা’ নামক বিভিন্ন ধরণের কালো মরিচ চাষ করেছিলেন। তিনি তার কৃষিকাজে সব সময় জৈব সার ব্যবহার করেন।
প্রাথমিক পর্যায়ে তিনি ১০,০০০ টাকায় প্রায় ১০,০০০ মরিচের চারা রোপণ করেন। বছর অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথে তাদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। তার চাষ করা কালো মরিচের সারা বিশ্বে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তার বাড়ি পশ্চিম গারো পাহাড়ের এলাকায়। গোল মরিচ বপন করার সময় মনে রাখতে হবে যে এই ফসলটি খুব ঠান্ডা আবহাওয়ায় বেশি বাড়ে না এবং খুব বেশি তাপ সহ্য করতে পারে না।
কালো মরিচের লতা সমান এবং দ্রুত বৃদ্ধি পায়। ভারী কাদামাটি সহ জলাবদ্ধ মাটি এই ফসলের চাষের পক্ষে উপযোগী। উল্লেখ্য, যে ক্ষেতে নারকেল ও সুতালির মত ফলের গাছ জন্মে, এমন জায়গায় গোল মরিচের ভালো চাষ হয়। এই ফসলের জন্য ছায়া প্রয়োজন। এই চাষের জন্য গাছ থেকে ৩০ সেন্টিমিটার দূরত্বে একটি গর্ত খনন করে তাতে দুই থেকে তিন ব্যাগ সার মেশাতে হবে। সার এবং পরিষ্কার মাটি যোগ করা হয়।
এরপরে, বিএইচসি পাউডার প্রয়োগ করে মরিচ রোপণ করুন। কেরালা কালো মরিচ উৎপাদনের দিক থেকে দেশের বৃহত্তম রাজ্য। দেশের ৯৮ শতাংশ কালো মরিচ এখানে জন্মে। এর পরেই রয়েছে তামিলনাড়ু ও কর্ণাটক। এছাড়া মহারাষ্ট্রের কোঙ্কন অঞ্চলে বিরল গোল মরিচের চাষ হয়। আপনি বাজারে বা যেকোনো দোকান দারের কাছে গোল মরিচ বিক্রি করতে পারেন। বর্তমানে কালো মরিচ প্রতি কেজি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।