কাঠের জিনিসের মধ্যে শাল গাছের তৈরি জিনিস সবথেকে ভালো হিসাবে গণ্য করা হয়। তবে মেহগনি গাছও (mehogany tree) কিন্তু কিছু কম যায় না। ২০০ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত বাড়তে পারে এই গাছ। ভালো জিনিস তৈরিতেও এই কাঠের ভালো সুনাম রয়েছে।
তবে আপনি যদি চান, তাহলে এই গাছের চাষ করে অল্প সময়ের মধ্যে অনেক টাকার মালিক হতে পারবেন। ঐতিহ্যবাহী ফসল চাষে ক্রমাগত লোকসানের ফলে, কৃষকদের মধ্যেও এখন অন্যরকম চাষের প্রবণতা বাড়ছে। তার মধ্যে গাছ চাষ অন্যতম।
বর্তমান সময়ে সেগুন, চন্দন ও মেহগনি জাতীয় গাছ চাষ করে ভালো লাভের মুখ দেখেছেন কৃষকরা। তবে এর মধ্যে মেহগনি গাছ (mehogany tree) বেশ লাভদায়ক। এই গাছকে আবার চিরসবুজ গাছও বলা হয়ে থাকে। লাল এবং বাদামী রঙের কাঠ বিশিষ্ট এই গাছ উচ্চতায় ২০০ ফুট পর্যন্ত হয়।
চাষের ক্ষেত্রে এই গাছ ১২ বছর বয়স হলে আপনি কাটতে পারবেন। ততদিনে এই গাছের শক্ত কাঠ তৈরি হয়ে যায়। আর তা দিয়ে ভালো আসবাবপত্র তৈরি করা যায়।
এই কাঠের বিশেষত্ব হল, জলে ক্ষতিগ্রস্থ হয় না এই কাঠের তৈরি আসবাব। সেই কারণে জাহাজ, গয়না, আসবাবপত্র, প্লাইউড এবং ভাস্কর্য তৈরিতে এই গাছের কাঠ ব্যবহার করা হয়। এই গাছের পাতা এবং বীজের তেল থেকে সাবান, রং, বার্নিশ এবং অনেক ধরনের ওষুধ তৈরির পাশাপাশি মশা তাড়ানোর জন্য এবং কীটনাশক তৈরিতে ব্যবহৃত হওয়ায় পোকায় নষ্ট করতে পারে না এই কাঠের আসবাবপত্র।
এই গাছের কাঠের তৈরি শুধু আসবাবপত্রই নয়, গাছের পাতা ও বীজ ব্যবহার করেও কৃষকরা দ্বিগুণ লাভবান হতে পারেন। আবার এই গাছের পাতা ক্যান্সার, রক্তচাপ, হাঁপানি, ঠান্ডা এবং ডায়াবেটিস সহ অনেক রোগের ঔষধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। সেই কারণে মেহগনি গাছ (mehogany tree) একবার চাষ করলে, নানারকমভাবে আপনি টাকা উপার্জন করতে পারবেন।