পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, নিজের লক্ষ্যে স্থির থাকলে মানুষ একদিন ঠিকই উন্নতির চূড়ায় উঠতে পারে, তা আবারও প্রমাণ করলেন কেরালার (kerala) ওয়েনাদ জেলার পজুথানা গ্রামের বাসিন্দা শ্রীধন্যা সুরেশ (Sreedhanya Suresh)। জীবনের সকল প্রতিবন্ধতাকে দূরে সরিয়ে, নিজের লক্ষ্যে স্থির থেকে স্বপ্নপূরণ করে প্রথম আদিবাসী আইএএস অফিসার হয়ে ইতিহাস গড়লেন শ্রীধন্যা সুরেশ।
কেরালার (kerala) ওয়েনাদ জেলার পজুথানা গ্রামের বাসিন্দা হলেন শ্রীধন্যা সুরেশ, যিনি গ্রামেরই সরকারি স্কুল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে সেন্ট জোসেফ কলেজ থেকে প্রাণিবিদ্যায় স্নাতক ডিগ্রী করার পর কালিকট বিশ্ববিদ্যালয়, কোঝিকোড় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পড়াশুনা শেষ করে বসে না থাকে কেরালায় তপশিলি উপজাতি উন্নয়ন বিভাগে কেরানি হিসেবে কাজ করেন শ্রীধন্যা। শুধু তাই নয়, কিছুদিনের জন্য ওয়ানাদে উপজাতি হোস্টেলের ওয়ার্ডেনও ছিলেন তিনি।
পড়াশুনা শেষ করার পর একজন আইএএস দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে UPSC-এর জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার মন তৈরি করেছিলেন শ্রীধন্যা সুরেশ (Sreedhanya Suresh)। তাঁর বাবা একজন দিনমজুরি করার পাশাপাশি তিরধনুক বিক্রি করে শ্রীধন্যা এবং তাঁর তিন ভাইবোনের সংসার চালাতেন। এর মধ্যে শ্রীধন্যা আইএএস হওয়ার স্বপ্ন দেখলেন। সেইমত নিতে শুরু করলেন UPSC পরীক্ষার প্রস্তুতি। প্রথম এবং দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হলেও, হাল ছাড়েননি শ্রীধন্যা। অদম্য মনের জোর থাকায় আবারও ২০১৮ সালে তৃতীয় বারের চেষ্টায় সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় ৪১০ র্যাঙ্ক করেন তিনি।
সিভিল সার্ভিসেস পরীক্ষায় পাস করে ইতিহাস তৈরি করেন শ্রীধন্যা। তাঁর অসীম মনের জোর এবং উচ্চে ওঠার প্রবল ইচ্ছাশক্তির কারণেই শ্রীধন্যাই কেরালার (kerala) প্রথম আদিবাসী মহিলা যিনি আইএএস অফিসার হয়েছেন। সেইসঙ্গে বাবা, মা, পরিবার, পরিজনের মুখ উজ্জ্বল করেছেন এই মেয়েটি। আজকের দিনে কোঝিকোড়ের জেলা কালেক্টর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন শ্রীধন্যা সুরেশ (Sreedhanya Suresh)।